Physical Assault Case: নামখানা, ময়নাগুড়ি ধর্ষণ মামলার জোড়া রিপোর্ট হাইকোর্টে, ময়নাগুড়ির তদন্ত শেষ, দাবি রাজ্যের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 20, 2022 | 3:36 PM

Calcutta High Court: জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে ধর্ষণের চেষ্টার পর খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

Physical Assault Case: নামখানা, ময়নাগুড়ি ধর্ষণ মামলার জোড়া রিপোর্ট হাইকোর্টে, ময়নাগুড়ির তদন্ত শেষ, দাবি রাজ্যের
দুই ধর্ষণ মামলার জোড়া রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে।

Follow Us

কলকাতা: একইদিনে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি মামলার রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। একদিকে ময়নাগুড়ি ধর্ষণ মামলা, অন্যদিকে নামখানা ধর্ষণ মামলা। ময়নাগুড়ির মামলায় সোমবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় এদিন। আদালত সূত্রে খবর, রিপোর্টে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তদন্ত শেষ। চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নামখানা ধর্ষণ মামলায়ও দময়ন্তী সেনের তরফে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেন এজি। নামখানা ধর্ষণ মামলাতেও ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা পড়েছে। আগামী ২৭ জুন ফের মামলার শুনানি হবে।

জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে ধর্ষণের চেষ্টার পর খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে ওই নাবালিকা গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। ১২ দিন পর হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। রাজ্যের কাছে এই মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। জলপাইগুড়ির ডিআইজিকে এই তদন্তের নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কেস ডায়েরি থেকে, তদন্ত কতদূর এগোল, সে সংক্রান্ত বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছিল রাজ্যকে। সোমবার এই মামলায় রাজ্য জানায়, তদন্ত শেষ। চার্জশিটও জমা পড়েছে।

অন্যদিকে গত ৪ এপ্রিল এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায়। নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগও ওঠে। নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তরা আগে থেকে ঘরে লুকিয়ে ছিলেন। রাতে তিনি বাথরুমে যাওয়ার জন্য বের হতেই তিনজন জাপটে ধরেন। এরপরই ঘরের ভিতর ধর্ষণ করা হয়। এই মামলাটির বিশেষ গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার দেওয়া হয় আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের হাতে।

কারণ, নির্যাতিতার পরিবার রাজ্যের হলফনামা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। রাজ্যের রিপোর্টে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের উল্লেখ নেই বলেও আদালতে জানিয়েছিলেন মামলাকারী। যদিও রাজ্যের দাবি ছিল, এই তদন্ত আপাতত দময়ন্তী সেন করছেন। তা ছাড়া অতিরিক্ত হলফনামায় অনেক কিছুর উল্লেখ রয়েছে। দময়ন্তী সেন যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন বলেই নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আদালতে সে রিপোর্টও জমা পড়ে। সাতদিন পরই ফের মামলার শুনানি হবে।

Next Article