Post Poll Violence: রক্ষাকবচ তুলে নিল হাইকোর্ট! তবে কি এবার মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান গ্রেফতারির পথে?

CBI: বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামে এক বিজেপি সমর্থক খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় শেখ সুফিয়ানের।

Post Poll Violence: রক্ষাকবচ তুলে নিল হাইকোর্ট! তবে কি এবার মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান গ্রেফতারির পথে?
ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় নাম শেখ সুফিয়ানের। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2021 | 2:01 PM

কলকাতা: নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় বিপাকে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। একই দিনে জোড়া ধাক্কা আদালতে। তাঁর রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদনও সোমবার খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ এই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় সোমবার। একদিকে যেমন শেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ আদালতের কাছ থেকে তিনি পেয়েছিলেন, সেটিও এদিন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টই শেখ সুফিয়ানকে অন্তর্বতী রক্ষাকবচ দিয়েছিল। একই দিনে জোড়া ধাক্কা খেলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এই তৃণমূল নেতা।

নিঃসন্দেহে আদালতের এদিন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কার্যত এবার ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় শেখ সুফিয়ানকে গ্রেফতার করায় কোনও সমস্যা থাকছে না। এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় শেখ সুফিয়ানকে জেরা করে সিবিআই। তাঁর বয়ান রেকর্ডও করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ জমা পড়ে সিবিআইয়ের কাছে।

এরপরই সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই আগাম জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শেখ সুফিয়ান। সে সময় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিল। একইসঙ্গে সে সময় সিবিআইও জানিয়েছিল, এখনই গ্রেফতারির পরিস্থিতি নেই।

এদিকে সোমবার ফের মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, মামলার যা পরিস্থিতি তাতে শেখ সুফিয়ানকে রক্ষাকবচে রাখলে সমস্যা হবে। এরপরই বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ সেই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নেয়। একই সঙ্গে আগাম জামিনের মেয়াদের সময়সীমা শেষ হয়ে আসছিল বলে, আদালতে গিয়েছিলেন সুফিয়ান। আদালত সেই আর্জিও খারিজ করে দেয়।

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামের বাসিন্দা বিজেপি সমর্থক দেবব্রত মাইতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় শেখ সুফিয়ানের। নিহত দেবব্রতের পরিবার মানবাধিকার কমিশনের কাছে তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগও দায়ের করেন।

যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের বক্তব্য ছিল, “সিবিআই আমাকে নোটিস পাঠায়। আমি ওই ঘটনায় জড়িত নই। তবুও আমায় যখন ডাকা হয়েছে তখন আমায় যেতেই হবে। গোটাটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। সেইজন্যই আমায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।”

পাল্টা বিজেপি নেতা প্রলয় পালের দাবি ছিল, “নির্বাচনের পর দিন চিল্লোগ্রামে দেবব্রত মাইতির বাড়ি গিয়ে তাঁকে মারধর করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় দেবব্রতকে কলকাতায় নিয়ে গেলে দু’দিন বাদে মৃত্যু হয় তাঁর। নন্দীগ্রাম থানায় সেই মুহূর্তে মামলা করা যায়নি। কারণ তৃণমূলের লোকেরা চারদিক ঘিরে রেখেছিল। পুলিশও নিষ্ক্রিয় ছিল। পরে মানবাধিকার কমিশন নন্দীগ্রামে এলে তাঁদের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই ঘটনায় সেখ সুফিয়ান-সহ নন্দীগ্রামের বেশ কয়েক জন প্রথম সারির তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে।”

আরও পড়ুন: SSC Recruitment Case: নেটওয়ার্কের সমস্যায় শুনানিতে গরহাজির আইনজীবী! পিছল গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলার শুনানি