SSC Recruitment Case: নেটওয়ার্কের সমস্যায় শুনানিতে গরহাজির আইনজীবী! পিছল গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলার শুনানি

Calcutta High Court: গত কয়েকদিন এসএসসির গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির মামলা বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে।

SSC Recruitment Case: নেটওয়ার্কের সমস্যায় শুনানিতে গরহাজির আইনজীবী! পিছল গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলার শুনানি
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2021 | 1:17 PM

কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগের মামলার শুনানি পিছল। এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গেল এই মামলার শুনানি। আগামী সোমবার এই শুনানি হবে। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের এদিন ভার্চুয়ালি শুনানিতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু নেটওয়ার্কের কিছু সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত পিছিয়ে গেল এই মামলার শুনানি। আগামী ৬ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে।

আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ। যেহেতু সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে, তাই সেখানেই রয়েছেন বিকাশবাবু। এদিকে তিনিই এসএসসি মামলায় মামলাকারীদের আইনজীবী। সোমবার এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি মামলার শুনানির দিন ছিল। ঠিক হয়েছিল, ভার্চুয়ালি সেই শুনানিতে হাজির থাকবেন বিকাশ ভট্টাচার্য। কিন্তু নেটওয়ার্কের কিছু সমস্যার কারণে কোনও ভাবেই কানেক্ট করা সম্ভব হয়নি এই সাংসদ-আইনজীবীকে। তাই তা পিছনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই আদালত জানায়, আগামী সোমবার ফের শুনানি হবে।

গত কয়েকদিন এসএসসির গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির মামলা বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে। ২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ঘিরেই মামলা হয়। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা যায় প্রথমে। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে। কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে সামনে আসে আরও ৫৪২ জনের নামের তালিকা। এই সমস্ত নিয়োগই বেআইনি বলে মামলা হয় আদালতে।

মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তিন সপ্তাহের জন্য সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

এদিকে ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশের পর আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের কথা বলে কলকাতা হাইকোর্ট। এই সমস্ত নিয়োগও ভুয়ো বলেই অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুয়ো নিয়োগের নথি খতিয়ে দেখে বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিক এসএসসি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, তাদের কোনও কথা বলতেই দেওয়া হয়নি। তার আগেই এসএসসিকে ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Kolkata Police: কলকাতা পুলিশের টুইটে ত্রিপুরার ভোটের ফল! ‘নবান্নের কাছে আসতেই নয় তো?’ প্রশ্ন বিরোধীদের