কলকাতা: খড়্গপুর আইআইটির (IIT, Kharagpur) ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর তদন্তে নতুন মোড় আদালতে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্তার নেতৃত্বাধীন কমিটি। রিপোর্টে কমিটি উল্লেখ করছে, খড়্গপুরের আইআইটির ওই ছাত্রের রহস্য মৃত্যু আদতে খুন। এর পাশাপাশি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাও এদিন সন্দেহ প্রকাশ করেন, আইআইটি ময়না তদন্তের প্রথম রিপোর্ট প্রভাবিত করে থাকতে পারে। বিচারপতির মন্তব্য, যেভাবে মাথায় আঘাতের চিহ্ন থাকার পরেও সেটা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে সন্দেহের অবকাশ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, খড়্গপুর আইআইটির পড়ুয়া ফাইজ়ান আহমেদের প্রবল রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে। ওই ছাত্রের মাথায় ও বুকে ক্ষত রয়েছে। সেই বিষয়গুলির কথা উল্লেখ করে আগামিকালের মধ্যে তদন্তকারী অফিসারকে রিপোর্ট সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার এই মামলায় নতুন ধারা যুক্ত করতে পারবেন। আদালতের মত, এবার ৩০২ ধারা (খুনের মামলা) যুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে। বিচারপতি মান্থা আরও মন্তব্য করেন, এবার অভিযুক্তদেরও চিহ্নিত করার সময় এসে গিয়েছে।
খড়্গপুর আইআইটির ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ফরেন্সিক রিপোর্ট আদালতে জমা পরার পরই আরও কড়া হাইকোর্ট। সিএফএসএল অধিকর্তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে ভিসেরা পরীক্ষা করে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানিতে এই বিষয়ে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি ওই মৃত্যু পড়ুয়ার দেহ যাতে দ্রুত ডিব্রুগড়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করে রাজ্য, সেই নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
এদিন খড়্গপুর আইআইটির আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্যকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আইআইটি যেখানে আংশিক অভিযুক্ত, সেখানে ময়না তদন্তের রিপোর্ট কি এখনই তারা পেতে পারে? উত্তরে আইআইটির আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য জানান, চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে তা পেতে পারে না। বিচারপতি এরপর তাঁর মৌখিক পর্যবেক্ষণে জানান, ‘আইআইটি আংশিক অভিযুক্ত। আপনাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’ আগামী দিনে রাজ্য পুলিশের দক্ষ অফিসারদের নিয়ে এই তদন্তে সিট গঠন করা হতে পারে বলেও এদিন ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত।