
কলকাতা: নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল আদালত। এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত নম্বর নিয়ে ফের প্রশ্ন আদালতের। অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্নই তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগের পরীক্ষায় নতুন প্রার্থীদের পাশাপাশি যাদের চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা অংশ নিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হয়।
সোমবার বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন তুলেছেন, যারা নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষকতা করেছেন, তাঁদের একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? পাশাপাশি, যারা প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতা করেছেন তাঁদের নবম-দশম বা একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নম্বর দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
নতুন নিয়োগ ঘিরে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। সেই মামলায় এই অভিযোগও তোলা হয়েছে যে যারা স্বাস্থ্য দফতরে কর্মরত ছিলেন, তাদেরও পূর্ব অভিজ্ঞতার জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আজ সোমবার ফের একবার দাগিদেরদের লিস্ট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। এই প্রথম নয়, একাধিকবার এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্ট উভয়ই। গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন দাগি নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক যাঁরা চাকরি করছিলেন তাঁদের যাবতীয় তথ্য সমেত নাম প্রকাশ করেছিল।
এসএসসিকে আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প ও OMR মিস ম্যাচদের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে মোট ৭২৯৩ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। শুধু তাই নয়, এসএসসিকে নিয়োগ যাতে স্বচ্ছ হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকী, প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।