Jhalda Councillor Murder Case: কেন শুরুতে এফআইআর নেওয়া হয়নি? পুলিশি গাফিলতি? তপন কান্দু হত্যা মামলায় কেস ডাইরি তলব হাইকোর্টের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Mar 29, 2022 | 4:06 PM

Calcutta High Court: প্রাথমিকভাবে ঝালদা পুলিশের গাফিলতি ছিল বলে মনে করছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে কী তদন্ত হয়েছে তা জানতে কেস ডাইরিও তলব করা হয়েছে। পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

Jhalda Councillor Murder Case: কেন শুরুতে এফআইআর নেওয়া হয়নি? পুলিশি গাফিলতি? তপন কান্দু হত্যা মামলায় কেস ডাইরি তলব হাইকোর্টের
মালদহ বিস্ফোরণে দায়ের মামলা। ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা : ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর (Jhalda Councillor Murder) তপন কান্দু হত্যা মামলায় কেস ডাইরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় শুরুতে এফআইআর নেওয়া হয়নি। তাই প্রাথমিকভাবে ঝালদা পুলিশের গাফিলতি ছিল বলে মনে করছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে কী তদন্ত হয়েছে তা জানতে কেস ডাইরিও তলব করা হয়েছে। পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। শুক্রবার তপন কান্দু হত্যা মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে। এর পাশাপাশি, মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবারকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

উল্লেখ্য, মামলার প্রথম দিনেই কলকাতা হাইকোর্ট যেভাবে মন্তব্য করেছে, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর যখন মৃত্যু হয়, তারপর অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন তপন কান্দুর স্ত্রী। অভিযোগ রয়েছে, সেই সময় পুলিশের তরফে এফআইআর নেওয়াই হয়নি। কীভাবে এফআইআর ছাড়া এই মৃত্যুর তদন্ত চলছে, তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আদালত।

ঝালদার কংগ্রেসর কাউন্সিলরের মৃত্যুর পর শুরু থেকেই পুলিশের দিকে আঙুল তুলে আসছিলেন মৃত তপন কান্দুর স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ ছিল সরাসরি ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধে। জেলার পুলিশ সুপারকে পাঠানো চিঠিতেও তপন কান্দুর মৃত্যুতে ঝালদা থানার আইসির জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় পুলিশের যে গাফিলতি ছিল, তা পরবর্তী সময়ে পুলিশের পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট। এক সাব ইনস্পেকটর সহ মোট পাঁচ পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা পুলিশ।

কিন্তু স্বামী হারা পূর্ণিমা কান্দুর সাফ কথা ছিল, শুধু পাঁচজনকে ক্লোজ করলেই হবে না। আইসির বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অভিযোগ, তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। পূর্ণিমা দেবী সেই সঙ্গে আরও বলেছিলেন, তিনি সিবিআই তদন্ত চান। তা না হলে সঠিক তদন্ত হবে না।

উল্লেখ্য, রাজ্যের শাসক শিবির, বিষয়টিতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখানোর একটি চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। অন্যদিকে কংগ্রেস শিবির বিষয়টিকে নিয়ে কোনওভাবেই তৃণমূলকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। কংগ্রেসের অভিযোগ, শাসক দলের লোকেরাই খুন করেছেন। উল্লেখ্য, ঝালদা পুরসভার মোট ১২ টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে পাঁচটি ওয়ার্ড রয়েছে তৃণমূলের দখলে এবং অন্য পাঁচটি ওয়ার্ড রয়েছে কংগ্রেসের দখলে। বাকি দুটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী।

আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: ‘অনুব্রত চাইলে এই গণহত্যা রুখতে পারতেন, কিন্তু আটকাননি’, ফের বিস্ফোরক নাজিমা বিবির স্বামী

Next Article