
কলকাতা: ২ বছর আগের ঘটনা। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত ১৪ অভিযুক্তের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলুয়াখাকির সেই হিংসার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। মঙ্গলবার হিংসার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “সরকার বদলালেও পুলিশ একই থাকে। তাদের নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়।” ২ বছর পরও
১৪ জন অভিযুক্তর মধ্যে মাত্র ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। বাকি ১২ অভিযুক্তকে খোঁজার দায়িত্ব সিআইডি-কে দিল হাইকোর্ট।
২০২৩ সালের নভেম্বরে জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। তাঁকে খুনে দলুয়াখাকির এক যুবকের বাইকের ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা খুনের পর দলুয়াখাকির সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, দলুয়াখাকি গ্রামের প্রায় ২৮টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। অভিযোগ, কার্যত পুরুষ শূন্য করে দেওয়া হয় গ্রাম। সিপিএমের অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের বাড়ির সমস্ত জিনিস লুট করা হয়েছে।
গ্রামে হামলার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। এদিন সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, অভিযুক্তদের ধরার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক রং দেখলে হবে না। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন সরকারি আইনজীবী আবেদন করেন, “৪৫ দিন সময় দিন, সবাইকে খুঁজে আনব।” বিচারপতি ঘোষ তখন বলেন, “এই ভোকাল টনিক তদন্তকারী অফিসারকে দিন।” তারপরই বিচারপতি বলেন, “সোনারপুর, বারুইপুর, নরেন্দ্রপুর থানার ভূমিকায় আমি খুবই বিরক্ত।” আগামী নভেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে পুলিশ কতজনকে গ্রেফতার করতে পারে, সেটাই এখন দেখার।