Calcutta High Court: ‘এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না’, বিজ্ঞপ্তি জারি ঘোষণার পর আদালত থেকে খালি হাতে ফিরতে হল চাকরিহারাদের একাংশকে

Calcutta High Court: আবেদনকারী শিক্ষকদের বক্তব্য ছিল, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা স্কুলে ঢুকতে পারছেন না। নতুন যে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেখানেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে আদালত হস্তক্ষেপ করুক।

Calcutta High Court: এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না, বিজ্ঞপ্তি জারি ঘোষণার পর আদালত থেকে খালি হাতে ফিরতে হল চাকরিহারাদের একাংশকে
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 28, 2025 | 1:32 PM

কলকাতা: ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ চাকরিহারা ‘অযোগ্য’ শিক্ষকরা।  ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ৩০ মে বলে  সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিহারা(অযোগ্য) শিক্ষকদের একাংশ। বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। কিন্তু মামলা গ্রহণ করলেন না বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়।

বিচারপতির স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, “এই বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি এখন শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টে গ্রীষ্মবকাশকালীন বেঞ্চ হস্তক্ষেপ করবে না।”

আবেদনকারী শিক্ষকদের বক্তব্য ছিল, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা স্কুলে ঢুকতে পারছেন না। নতুন যে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেখানেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে আদালত হস্তক্ষেপ করুক।

প্রসঙ্গত, এর আগে ওএমআর বিকৃতি ও র‍্যাঙ্ক জাম্পের অভিযোগে চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীরা সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ আদালত থেকেও তাঁদের খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল।

বুধবার সকালে কালীঘাটের সামনে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখান ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের একাংশ। ১৮০৩ জন মতো ‘নট স্পেসিফিক্যালি টেন্টেড’ শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন, যাঁরা স্কুলে যেতে পারছেন না, তাঁরা বেতনও পাচ্ছেন না। তাঁদেরই একাংশ বুধবার সকালে কালীঘাটের অদূরে হাজরা মোড়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা কিন্তু নট স্পেসিফিক্যালি টেন্টেড। আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এখনও প্রমাণ হয়নি। কিন্তু আমরা স্কুলে যেতে পারছি না, আমরা বেতনও পাচ্ছি না।” পরে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।