Calcutta High Court: কোর্টের ভিতর হোয়াটস অ্যাপ দেখালেন বিকাশ, একটু হেসে বিচারপতি সিনহা বললেন, ‘এভাবে কি আর চাপ দেওয়া যায়…’, কী হল হঠাৎ হাইকোর্টে?

Kolkata: মূলত, এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয় গত ১৮ সেপ্টেম্বর। সেই ফল বের হয় ৭ নভেম্বর। যে সকল চাকরিপ্রার্থীরা এই পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের একাংশের অভিযোগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল ভুলে ভরা। এরপরই মামলা দায়ের হয় কোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে চলছিল মামলা।

Calcutta High Court: কোর্টের ভিতর হোয়াটস অ্যাপ দেখালেন বিকাশ, একটু হেসে বিচারপতি সিনহা বললেন, এভাবে কি আর চাপ দেওয়া যায়..., কী হল হঠাৎ হাইকোর্টে?
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 14, 2025 | 9:34 AM

কলকাতা: এজলাসে মামলা চলাকালীন বিরক্ত বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আজ অর্থাৎ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) মামলা চলছিল। সেই সময় কোর্টের অন্দরে হাততালি দেন মামলাকারীদের একাংশ। এরপরই বিরক্ত হয়ে বিচারপতি মক্কেলদের বের করে দেন। তখন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য একটি হোয়াটস অ্যাপ দেখান বিচারপতিকে। কী ছিল সেই হোয়াটস অ্যাপে? কেনই বা বিচারপতি বললেন,”এভাবে কি আর কোর্টের উপর চাপ দেওয়া যায়?

মূলত, এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয় গত ১৮ সেপ্টেম্বর। সেই ফল বের হয় ৭ নভেম্বর। যে সকল চাকরিপ্রার্থীরা এই পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের একাংশের অভিযোগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল ভুলে ভরা। এরপরই মামলা দায়ের হয় কোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে চলছিল মামলা। এ দিন, শুনানি চলাকালীন দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল আইনি লড়াই চলছিল। সেই সময় একদল অতি উৎসাহী মানুষ এজলাসের ভিতরেই হাতিতালি দিয়ে একপক্ষের আইনজীবীর যুক্তি সমর্থন করেন। তখনই বিরক্ত হন বিচারপতি। মামলার মক্কেলদের বের করে দেন তিনি।

এরপর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মোবাইল বের করে একটি হোয়াটস অ্যাপ দেখান কোর্টকে। বিকাশবাবুর দাবি, যাঁরা হাততালি দিচ্ছিলেন তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে মামলা চলাকালীন এজলাসে ভিড় করে থাকেন। তাতে আদালতের উপরে চাপ থাকবে।

এরপর বিচারপতি সিনহা একটু হালকাভাবেই বলেন, “এই ভাবে কি আর চাপ দেওয়া যায়!” এরপরেই জানিয়ে দেন,আগামী দিনে এই ধরনের মামলা যা জনগণের উপর প্রভাব পড়ে, সেই ধরনের মামলায় ঢুকতে দেওয়া হবে না মক্কেলদের। তাঁর মতে, এমনিতেও মামলার লাইভ করা হয়। ফলে যাঁদের প্রয়োজন তাঁরা যাতে সেই লাইভ দেখেই নিজেদের কৌতূহল মেটাতে পারবেন।