কলকাতা: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। টাকা ও চাকরি কোনোটাই না পেয়ে অনেকেই পরে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে নদিয়ায় উঠেছে আরও গুরুতর অভিযোগ। চাকরি না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। টাকা দেওয়া তো দূরের কথা, জোটে মারধর। রীতিমতো লোহার রড দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় কেন লঘু ধারা দেওয়া হল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশ আধিকারিকদের তলবও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন তোলেন, যিনি মারধরে অভিযুক্ত, তাঁকে লঘু ধারা দেওয়া হল কেন? খুনের চেষ্টার অভিযোগ নয় কেন? দেহে আঘাত হওয়া সত্ত্বেও কেন পুলিশ হালকা ধারা প্রয়োগ করল, তা জানতে চেয়ে নদিয়ার শান্তিপুর থানার আইসি এবং আইও-কে কেস ডায়েরি সহ কলকাতা হাইকোর্টে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার তলব করা হয়েছে তাঁদের।
অভিযোগ, মামলাকারী সেলিম মালিকে কৃষি দফতরের গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। দিনের পর দিন চাকরির আশ্বাস দিয়ে ৪ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল মামলাকারীর কাছ থেকে। পরে সেই টাকা ফেরত চাইতে অভিযুক্তের বাড়িতে যান ওই ব্যক্তি। সেখানেই লোহার রড দিয়ে মামলাকারীকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গুরুতর আহত অবস্থায় সেই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্তপাত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কেন হালকা ধারা প্রয়োগ করল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।