Calcutta High Court: ‘অমান্য করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়’, SSC-র নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে

Calcutta High Court: আগামী ১৬ জুন বিকেল ৫টা থেকে অনলাইনে আবেদন জানানো যাবে। লিখিত পরীক্ষা হতে পারে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে। কিন্তু এসবের মধ্যে নতুন এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। 

Calcutta High Court: অমান্য করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়, SSC-র নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে
এসএসসি-র নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 03, 2025 | 1:39 PM

কলকাতা: এসএসসি-র নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ। হাইকোর্টে মামলার আর্জি। মামলাকারী লুবানা পারভিনর বক্তব্য, আইন মোতাবেক নতুন রুল তৈরি হয়নি, যা শীর্ষ আদালতের রায়কে অমান্য করা। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৫ জুন বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বেঞ্চে মামলার শুনানি।

মামলাকারীর অভিযোগ, ৪৪ হাজার নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি ও রুল প্রকাশ করা হয়েছে,  তা অবৈধ। মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের সিলেকশন প্রোসেস ওই সালের রুল অনুযায়ী করতে হবে ২০১৬ সালের প্রার্থীদের মধ্যে থেকে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ মেনে হয়নি।  দ্বিতীয়ত,  বয়সের ছাড়ের ক্ষেত্রেও নির্দেশ মেনে হয়নি। নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী যদি একাধিক পরীক্ষায় বসে থাকে, তাহলে প্রতি সিলেকশনে বয়সের ছাড় পাবে। কিন্তু নতুন বিজ্ঞপ্তিতে একবার মাত্র সুযোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে ১০ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। তাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৩১ মে’র আগেই নতুন করে চাকরির পরীক্ষীর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সাধারণ পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ২১ বছর থেকে ৪০ বছর হতে হবে। তবে ওবিসি, এসসি, এসটি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীরা বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।  ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলের চাকরিহারাদের মধ্যে যাঁদের পরীক্ষায় বসার বয়সসীমা পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বয়সসীমায় ছাড় দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। পরীক্ষায় বসার ন্যূনতম যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনও ভারতীয় চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন। পুরুষ চাকরিপ্রার্থীদের মেয়েদের স্কুলে নিয়োগ করা হবে না।

আগামী ১৬ জুন বিকেল ৫টা থেকে অনলাইনে আবেদন জানানো যাবে। লিখিত পরীক্ষা হতে পারে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে। কিন্তু এসবের মধ্যে নতুন এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।

উল্লেখ্য, চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন, তাঁরা এই পরীক্ষায় বসবেন না। এদিকে, আইনজীবী ফিরদৌস শামিম একটা আভাস দিয়ে রেখেছিলেন, যদি চাকরিহারাদের বাড়তি কোনও সুযোগ দেওয়া হয় অর্থাৎ বয়সের ঊর্ধ্বসীমার ক্ষেত্রে যদি ছাড় দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে নতুন করে মামলা হওয়ার অবকাশ থাকছেই। এদিন মামলা দায়েরের পর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট কখনই বলেনি, নতুন করে রুল ফ্রেম করে, শেষে ১০ নম্বর টিচিং এক্সপেরিয়েন্সের নম্বর দিতে। অর্থাৎ এতে বঞ্চিত চাকরিহারাদের জন্য ৯০ নম্বরের সিলেকশন আর বাকিদের জন্য ১০০ নম্বরের সিলেকশন করা হয়েছে। যা সুপ্রিম কোর্ট বলেনি। কিন্তু রাজ্য এটা করেছে।”

আইনজীবী জানান,  এসএসটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় যে, ২০১৬ সালের সিলেকশন ২০২৫ সালের রুল অনুযায়ী হবে। ২০১৬ সালের নির্দিষ্ট রুল ছিল। সেখানে অ্যাকাডেমিক্সের মার্কস ছিল ৩৫, সেটাকে কমিয়ে করা হয়েছে ১০, লিখিত পরীক্ষায় ছিল ৫৫, সেটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০। ইন্টারভিউ ছিল ১০, এবারের রুলে ইন্টারভিউ ১০ ও লেকচার ডেমোস্ট্রেশনের জন্য ১০ বরাদ্দ করা হয়েছে। টিচিং এক্সপেরিয়েন্সের জন্য ১০ দিল। যাঁদের অভিজ্ঞতা নেই, তাঁরা কোনওদিনই শিক্ষক হতে পারবেন না। এইভাবে যদি বৈষম্য করা হয়, যাঁরা প্রকৃত বঞ্চিত হল। আগে ইন্টারভিউ লিস্ট তৈরি হত ৯০ নম্বরের ভিত্তিতে, বর্তমানে ইন্টারভিউ লিস্ট তৈরি হবে ৭০ নম্বরের ভিত্তিতে। আগে১:১.৪ অনুপাতে ডাকা হত, অর্থাৎ ১০০টি পদে ১৪০ জনকে ডাকা হত। এখন ১:১.৬ অনুপাতে ডাকা হবে। অর্থাৎ ১০০টি পদের জন্য ১৬০ জনকে।”

১৬ জুন থেকে আবেদন জানানোর দিন। তার আগেই শুনানির সম্ভাবনা।