
কলকাতা: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে জোড়া মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। দুর্গাপুর ধরনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করে হাইকোর্টে মামলা। দুর্গাপুর আসানসোল অথরিটি কার্যালয়ের সামনে ধরনা করতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। অন্যদিকে, হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন দুর্গাপুর বেসরকারি হাসপাতাল।
উল্লেখ্য, সোমবারই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসকদের কাছ থেকে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া জন্য। কিন্তু তিনি কথা বলতে পারেননি। পরে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন। প্রশাসন ও দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতাল, যেখানে নির্যাতিতা চিকিৎসাধীন, তাদের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দেন। এরপরই তিনি ধরনায় বসেন।
বিজেপির তরফ থেকে যাতে ধরনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। কারণ পুলিশের তরফ থেকে এক্ষেত্রে অনুমতি মেলেনি। সে কারণেই হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধরনা যাতে ১৯ তারিখ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার আবেদন করা হয়েছিল। মামলা করার অনুমতি দিয়েছে অবকাশকালীন বেঞ্চ।
অন্যদিকে, এই ধরনা নিয়ে দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের বক্তব্য, কলেজে পরীক্ষা চলছে। রোজ ১০০-১৫০ লোক ঢুকে পড়ছে। তাতে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতেও অসুবিধা হচ্ছে। তাই বাইরের ওতো লোক যাতে না ঢোকেন, যাতে তাঁদের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এই দুটো মামলাই এই সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।