Calcutta High Court: ‘কেউ থ্রেট করলে…’, ভীত-আড়ষ্ট মহিলা কংগ্রেস সদস্যকে দেখে কড়া বার্তা আদালতের

Calcutta High Court: বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন কংগ্রেসের জয়ী সদস্য ঊর্মিলা খাতুনকে যথাযথ নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশকে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। একইসঙ্গে বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, বাড়ি ফেরার পর জেলা পুলিশ তাঁর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবে।

Calcutta High Court: কেউ থ্রেট করলে..., ভীত-আড়ষ্ট মহিলা কংগ্রেস সদস্যকে দেখে কড়া বার্তা আদালতের
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

Oct 03, 2023 | 7:43 PM

কলকাতা: মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির বৈঠকের আগে হঠাৎ করেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না কংগ্রেস সদস্য ঊর্মিলা খাতুনের। পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। আজ সেই ‘অপহৃত’ কংগ্রেস সদস্য ঊর্মিলা খাতুনকে হাজির করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নিজে ওই কংগ্রেস সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন। ঊর্মিলা খাতুন হাইকোর্টে জানান, তিনি কোনও রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে নয়, পুলিশি নিরাপত্তাতেই বাড়িতে ফিরতে চান। সেই মতো বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন কংগ্রেসের জয়ী সদস্য ঊর্মিলা খাতুনকে যথাযথ নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশকে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। একইসঙ্গে বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, বাড়ি ফেরার পর জেলা পুলিশ তাঁর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবে। ওই মহিলাকে কেউ ভয় দেখালে, তার বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।

তবে রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী কংগ্রেস সদস্যের অপহরণের অভিযোগে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বেশ বিস্মিত বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, ওই মহিলা কংগ্রেস সদস্যকে অপহরণ করে নেওয়া হয়েছে বলে মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা। সেই মামলায় আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল কংগ্রেসের ওই সদস্যকে খুঁজে নিয়ে আদালতে হাজির করার জন্য। সেই মতো আজ ঊর্মিলা খাতুন নামে ওই জয়ী কংগ্রেস সদস্যকে খুঁজে এনে আদালতে হাজির করে পুলিশ। কিন্তু, একজন তরুণীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠার পরেও স্থানীয় থানা কেন কোনও এফআইআর দায়ের করার প্রয়োজন মনে করল না? তা ভেবে বিস্মিত আদালত।

পুলিশের এই ধরনের ভূমিকায় বেশ বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট। ওই কংগ্রেস সদস্যের আড়ষ্টতাও এদিন নজরে এসেছে আদালতের, যা দেখে আদালতের মনে হয়েছে তিনি এখনও ভীত হয়ে রয়েছেন। এদিন হাইকোর্ট কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছে, কেউ যদি কোনওভাবে ওই কংগ্রেস সদস্যকে হুমকি দেয় বা ভয় দেখায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।