
কলকাতা: দিঘায় যখন জগন্নাথধামের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিকে, কাঁথিতে ‘সনাতনী হিন্দু সম্মেলন’ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি যখন সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন, তখন ওই সম্মেলনের অনুমতি দেওয়া নিয়েই হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য আবেদন করে, তারই শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “অনুষ্ঠান তো চলছে, এখন আর শুনানি শুনে কী হবে?” তাতে রাজ্যের হয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, “মামলাকারীরা যখন রাত ৯ টাতেও প্রধান বিচারপতির কাছে মামলার শুনানির জন্য যান, তখন দ্রুততার সঙ্গে সময় – দিন ধার্য করে দেওয়া হয়। আর রাজ্য চাইলেই হয় না।” কল্যাণ আরও বলেন, “যেভাবে প্রশাসনিকভাবে প্রধান বিচারপতি এবং আদালতের প্রশাসনের দ্বারা রাজ্যকে হয়রান হতে হল, সেটা আমাদের জন্য ঠিক নয়।”
কল্যাণের বক্তব্য শুনেই বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, “প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ আনেন, তাহলে এই মামলা আমি শুনব না।” কল্যাণ তারপরই বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী জালি হিন্দু – আসলি হিন্দুর কথা বলছেন। যদি হিন্দুদের মধ্যেই কোন গন্ডগোল বেঁধে যায়? কে রাজনৈতিক সংখ্যাগুরু আর কে সংখ্যালঘু সেটা বলা কি আদালতের কাজ ?”
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বুধবার সকাল ৭টায় ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় মামলার কী গুরুত্ব আছে?
বুধবার দুপুরে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই একই দিনে কয়েক কিলোমিটার দূরে কাঁথিতে ‘সনাতনী হিন্দু সম্মেলন’ করতে চেয়ে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ার তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়।|