Calcutta High Court: প্রাথমিকে ৩২ হাজারের চাকরি থাকবে না যাবে? বুধেই রায় দেবে আদালত

Kolkata: ২০১৪ সালের টেট হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিলেন। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। অপরদিকে,পর্ষদের দাবি ছিল, কয়েকটি ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে ঠিকই কিন্তু তা সংশোধন করা হয়েছে। 

Calcutta High Court: প্রাথমিকে ৩২ হাজারের চাকরি থাকবে না যাবে? বুধেই রায় দেবে আদালত
মামলার ভবিষ্যতImage Credit source: PTI

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 02, 2025 | 9:46 PM

কলকাতা: শেষ হয়েছে প্রাথমিকের বত্রিশ হাজারের চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার এই মামলার রায়দান।

২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এসেছিল। পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে সেই রায় বহাল ছিল সুপ্রিম কোর্টেও। এরপর ফের প্রাথমিকেও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২৩ সালে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর সেই মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে। ইতিমধ্যেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আগামিকাল হবে রায়দান।

২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। তারপর হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। একবার নয়, দুবার হয় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। প্রথমে নিয়োগ পান ৪২,৯৪৯ এবং পরবর্তীতে ১৬ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। অপরদিকে,পর্ষদের দাবি ছিল, কয়েকটি ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে ঠিকই কিন্তু তা সংশোধন করা হয়েছে। যদিও, ২০২৩ সালে তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেন। সেই সময় তাঁর নির্দেশ ছিল, চাকরি বাতিল হলেও শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন তবে নতুন করে ফের তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ শুরু করতে হবে। সেখানে যোগ্য এবং উত্তীর্ণদের চাকরি বহাল থাকবে।

এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। তবে ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে, নতুন করে নিয়োগ শুরু করতে হবে। এরপর ফের ওই দুই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম দুয়ারে যায় রাজ্য ও পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্ট তখন মামলা ফেরায় হাইকোর্টে। নির্দেশ দেয়, ডিভিশন বেঞ্চকে বাদি-বিবাদি দুই পক্ষের বক্তব্য শুনতে। পরবর্তীতে মামলা শোনেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার। আগামিকাল ৪২,৯৪৯ জনের মামলার শুনানি রয়েছে।