Calcutta Municipal Corporation: মাস গেলে ৬ হাজার টাকাও দিতে পারছে না ফিরহাদের পুরনিগম!

Calcutta Municipality: পুরনিগম সূত্রে খবর, অর্থসঙ্কট এতটাই যে পুরনিগমের বিভিন্ন প্রকল্প স্থগিত রাখতে হয়েছে। সূত্রের খবর, পুরনিগমের স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিতে মাসে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা খরচ হয়।

Calcutta Municipal Corporation: মাস গেলে ৬ হাজার টাকাও দিতে পারছে না ফিরহাদের পুরনিগম!
ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের পুরমন্ত্রীImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 10, 2025 | 7:02 PM

কলকাতা: গত আড়াই মাস ধরে একশো দিনের কর্মীদের মজুরি বন্ধের অভিযোগ। তবে কি অর্থ সঙ্কটে কলকাতা পুরনিগম? সূত্রের খবর, উৎসব বা জাঁক-জমক  অনুষ্ঠানের পিছনে কোটি-কোটি টাকা ব্যায় করছে পুরনিগম। তাহলে মজুরির টাকা দিতে গিয়ে ভাঁড়াড়ে টান কেন? বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পুরনিগম। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস।

কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত প্রায় সাড়ে চৌদ্দ হাজার ১০০ দিনের কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মজুরি বাবদ মাসে প্রায় আট থেকে নয় কোটি টাকা ব্যয় হয় পুরসভায়। অভিযোগ, বিগত আড়াই মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না এই সকল একশো দিনের কর্মীরা। ফলে আতান্তরে পড়েছেন তাঁরা। কারণ, মাস পিছু ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা হাতে পেয়ে থাকেন। তবে, বর্তমানে সেই টাকাও পাচ্ছেন না।

পুরনিগম সূত্রে খবর, অর্থসঙ্কট এতটাই যে পুরসভার বিভিন্ন প্রকল্প স্থগিত রাখতে হয়েছে। সূত্রের খবর, পুরসভার স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিতে মাসে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা খরচ হয়। প্রায় ১৮ হাজার স্থায়ী কর্মীর জন্য খরচ হয় ৭৮ কোটি। অস্থায়ী প্রায় ২০ হাজার কর্মীদের জন্য খরচ হয় ১৫ কোটি। আর প্রায় ৩৫ হাজার অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের জন্য় পুরসভার খরচ হয় মাসে খরচ ৪০ কোটি। এর মধ্যে স্থায়ী কর্মীদের বেতনের ৮৫ শতাংশ রাজ্য সরকার বহন করে। বাকি ১৫ শতাংশ পুরসভাকে বহন করতে হয়। কিন্তু অস্থায়ী কর্মীদের বেতন পুরটাই পুরসভাকে বহন করতে হয়।

সূত্রের খবর, ২০২২ সাল থেকে ১ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরনিগমর কাছে ঠিকাদার সহ পাওনাদারদের বকেয়ার পরিমাণ ৮৯৪ কোটি টাকা। সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, গত সেপ্টেম্বরে নেতাজি ইন্ডোর পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে প্রায় এক কোটি টাকা পুরনিগমের ভাঁড়ার থেকে ব্যয় হয়েছে। আগামী ১২ই মার্চ প্রাক দোল উৎসব পালিত হবে ধনধান্য অডিটোরিয়ামে। সেখানেও পুরনিগমের লাখ খানেক টাকা ব্যয় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

মেয়ের ফিরহাদ হাকিম বলছেন, “পৌরসভায় আগে যাঁরা ছিলেন, বিকাশদারা জমি বেচে অর্থনীতি সামাল দিয়েছেন। আর আমরা আন-অ্যাসেস্ট জমিগুলো ঠিক করে অর্থনৈতিক ঠিক করার চেষ্টা করছি। ট্যাক্স না বাড়িয়েও পুরনিগমের খরচা বাঁচানোর চেষ্টা করছি।” বিরোধী কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “নর্দমার পাঁক তুলছে। সেই তোলার বিনিময়ে দৈনিক ২০০টাকা না পায় তাহলে কীসের জন্য তাঁরা কাজ করবে? ওরা রোজ জিজ্ঞাসা করে দাদা মাইনে কোথায়? কী বলব?” মেয়র পারিষদ অসীম বসু বলেন, “তিনটি বোরোর পেমেন্ট বাকি আছে। ফেব্রুয়ারির পেমেন্ট বাকি আছে। অর্থাৎ তেরোটি বোরোর যা পেমেন্ট বাকি আছে তা সামনের সপ্তাহে মিটিয়ে দেওয়া হবে।”