
কলকাতা: ২৬ হাজার চাকরির প্যানেল বাতিলে আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে এদিন সরগরম হয়ে উঠল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সবপক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদীর ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ই শেষ পর্যন্ত বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, সুপ্রিম নির্দেশের পরেও কেন তা কার্যকর করা হচ্ছে না তা জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। একদিনের মধ্যে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তা জানাতে বলা হয়েছিল। আগের শুনানিতে বিচারপতি বসাক আদালতের নির্দেশ মেনে ‘চিহ্নিত’ অযোগ্যদের বেতন ফেরত-সহ ওএমআর প্রকাশের কথা বলেন। কিন্তু, শুরু থেকেই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
কলকাতা হাইকোর্টে কি আদৌ আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য? শীর্ষ আদালতে পুনর্বিবেচনার রায়ের পর কি এটা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শুনতে পারে? প্রশ্ন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে এসএসসি-র। এদিনও ফের একবার এনিয়ে জোরাল সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কল্যাণের মতে, এমনটা হলে শীর্ষ আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যদিও বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, হাইকোর্ট আদালত অবমাননার মামলা শুনতে পারে। সেই এক্তিয়ার হাইকোর্টের রয়েছে। যদিও এদিন সবপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর শেষ পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রাখা হয়।