কলকাতা: পঞ্চায়েতের টাকা কাউকে না জানিয়ে সরিয়ে ফেলছেন বিডিও। নারায়ণগড়ের এই অভিযোগ নতুন নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও বারবার তৃণমূলের তরফে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভোট মিটতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অভিযোগকারীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান সহ বেশ কয়েকজন এমন অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। এই ঘটনায় অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আজ, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। মামলাকারীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ও সমিতির টাকা কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই খরচ করেছেন বিডিও। সম্পূর্ণ ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা খরচ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ১১ মে-র পর থেকে বেআইনিভাবে টাকা খরচ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মামলাকারীদের দাবি, এ বিষয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তাঁরা।
আয়নাল হক মোল্লা নামে নামে এক তৃণমূল নেতা তথা নারায়ণগড়ের বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য মামলাটি করেছেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে, বিডিও-র কাছ থেকে সমস্ত নথি নিয়ে ৮ সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অভিযুক্ত বিডিও-র নাম কৃশানু রায়। মামলাকারীদের অভিযোগ, রূপশ্রী ও কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় না, সেই টাকা আত্মসাৎ করেন বিডিও। ত্রাণের টাকা, ট্রেনিং-এর টাকা সঠিক খাতে খরচ না করেই বিল বানিয়ে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ। এছাড়া বিডিও অফিসের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে বিডিও-র বিরুদ্ধে।