কলকাতা : সাড়ে তিন বছর ধরে খোঁজ ছিল না কলকাতার যুবক তৃষিত বিশ্বাসের। পুলিশ থেকে সিআইডি- দরজায় দরজায় ঘুরে ছেলের কোনও খোঁজ পাননি বাবা-মা। কার্যত হতাশ হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। তদন্ত শুরুর ২ মাসের মধ্যেই নিখোঁজ তৃষিতের খোঁজ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। ২০১৯ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই ছাত্র। গতকাল, বৃহস্পতিবার তাঁর খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। মুম্বই থেকে তাঁকে উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই যুবক এতদিন কোথায় ছিলেন? কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে? সবকিছু আদালতে জানাবে সিবিআই।
কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। পুলিশ খোঁজ দিতে না পারায় আগেও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই যুবকের বাবা। হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেছিলেন ছাত্রের বাবা। সেই সময় তদন্ত করছিল সিআইডি। কিন্তু সিআইডি তদন্তেও কোনও কিনারা হয়নি। তাই গত বছর ফের নতুন করে মামলা করা হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিশেষ টিম গঠন করে তদন্ত করছিল স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
সিআইডি তদন্ত চলাকালীন একটি ফোন আসে ওই ছাত্রের বাড়িতে। ছেলের খোঁজ দেওয়া হবে বলে ওই ফোন এসেছিল। পরে আসে একটি চিঠিও। আদালতের নির্দেশে ইন্টারপোলের সাহায্যে বাংলাদেশের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ফোন নম্বরের কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এরপরেই নতুন মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, আর পাঁচটা নিখোঁজ মামলার মতো নয় এই মামলা। দুই দেশের মধ্যে তদন্তের সমন্বয়ের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তৃষিত বিশ্বাস। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। দু-এক বার বাড়িতে ফোন এলেও ছেলের কোনও সন্ধান দেওয়া হয়নি।