কলকাতা: লটারিকাণ্ডে রহস্যভেদে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমেছে সিবিআই। কেষ্টকন্যার অ্যাকাউন্টে ২ বার লটারির টাকা গিয়েছে। তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে। সিবিআই জানতে পেরেছে, ৫১ লক্ষ টাকা ঢোকে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আর কেষ্টর (Anubrata Mondal) অ্যাকাউন্টেও ঢোকে ১০ লক্ষ টাকা। কীভাবে দু’বার করে দুটি অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে? তারই খতিয়ান পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই বলছে, লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া এই প্রথম নন। এর আগেও হয়েছে। অনুব্রতর এক কোটি টাকা লটারি পাওয়ার রহস্যভেদে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, এর আগেও ২০১৯ সালে লটারির একটা লেনদেন অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে হয়েছে। তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্টেও ২৫ লক্ষ ও ২৬ লক্ষ টাকা দু’বারে ঢুকেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটা কালো টাকা সাদা করার কৌশল। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন থেকে তেমনই ইঙ্গিত পেয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে লটারি বিক্রেতাদের কাছ থেকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁরা হাতে পেয়েছেন। তাঁদেরকে আরও জেরা করা হচ্ছে।
তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, কোথা থেকে লটারি কিনেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, কীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকল, কত টাকা পেয়েছিলেন, তিনি কি প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলেন অর্থাৎ কোটি টাকা নাকি তার নীচে কোনও অঙ্ক পেয়েছিলেন? কারণ যদি কোটি টাকা হয়, তাহলে ২৫ ও ২৬ লক্ষ টাকা ঢুকল মেয়ের অ্যাকাউন্টে, বাকি টাকা কোথায় গেল, তা জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা। সেই কারণে তদন্তকারীদের র্যাডারে এখন লটারি বিক্রেতারা। তাঁদের কাছ থেকেই এই সংক্রান্ত তথ্য পেতে চাইছেন তাঁরা। লটারির ডিলারদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই, যে কে পুরস্কারটা পেয়েছিলেন, মেয়ে না বাবা। তাই তাঁদেরকেও এই সংক্রান্ত জেরা চলছে। কারণ লটারিতে পুরস্কার জিতলে সাধারণত সংবাদপত্রে নাম দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও কি তাই হয়েছিল? সেই সূত্র ধরেই এগোতে চাইছেন তদন্তকারীরা।