কলকাতা: ইডি-র পর এবার সক্রিয় সিবিআই। আলিপুরের ভিসা হাউজ়ে চলছে সিবিআই তল্লাশি। ভিসা স্টিলের কর্ণধারের নাম বিশ্বম্ভর শরণ। ৩৫১ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই চলছে তল্লাশি। ঋণ নিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা করে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে বিশ্বম্ভরের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সাতসকালেই ৮/১০ আলিপুর রোডের ভিসা হাউজ়ে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের একটি প্রতারণার মামলার অভিযোগের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কয়েক বছর আগে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৩৫১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়েছিলেন সংস্থার কর্ণধার বিশ্বম্ভর শরণ। পরবর্তীকালে সংস্থাকে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করেন তিনি। ঋণের টাকা তছরুপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পাঁচটি গাড়িতে ২৫-২৬ জন সিবিআই আধিকারিকরা এসেছেন। এই প্রতিবেদন যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখনও পর্যন্ত ঘণ্টা খানেক হয়ে গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। ভিতরে সংস্থার নথি পত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে, একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তাঁরা। গেটের বাইরেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা। অফিসের বাইরে যাতে কোনওরকমভাবে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি না হয়, তার জন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে সংস্থার কর্ণধার বিশ্বম্ভর শরণ এখন অফিসের ভিতর রয়েছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
এমনিতেই ইডি-ফাঁসে ফেঁসে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের’ অফিসে চলছে তল্লাশি। সোমবার দুপুর থেকে রাতভর ম্যারাথন তল্লাশি চলেছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বহু নথি। সকালে ইডির তল্লাশি শেষ হয়। নথি ভর্তি তিনটি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। এদিকে আবার, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও তাঁর জামাইয়ের ফ্ল্যাট-সহ তিন জায়গায় গতকাল তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডি-র এই তল্লাশির মধ্যেই এবার সক্রিয় সিবিআই। র্যাডারে শহরের আরও এক শিল্পপতি।