কলকাতা: গরুপাচার (Cow smuggling Case) মামলায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), মণীশ কোঠারি, সায়গল হোসেন, এনামুল হকের। শুধু এরাই নন, পাশাপাশি তালিকায় রয়েছেন সিউড়ি থানার আইসি শেখ আলি। এবার সিবিআই র্যাডারে চালকল ব্যবসায়ী রবিন টিব্রেওয়াল। প্রথমবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হল হয়েছে তাঁকে। সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ হাজিরা দেন রবিন টিব্রেওয়াল। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর তিন থেকে চারটি চালকল রয়েছে। এনামুল হকের চালকল কোম্পানি ‘হক-ইন্ডাস্ট্রিসে’-র সঙ্গে কোটি-কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি। রবিনের চালকল সংস্থাতেই গরুপাচারের এই টাকা ঢুকেছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলার (Cow Smuggling Case) তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই সূত্র ধরেই একের পর এক তলব করা হয়েছে বিভিন্ন রথী-মহারথীকে। বর্তমানে তিহাড়ে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল, সায়গল হোসেন, এনামুল হক, মণীশ কোঠারিরা। অনুব্রত আসার অনেক আগে থেকেই সায়গল, এনামুল, মণীশের স্থান হয়েছে তিহাড়ে। অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত এনামুল ও সায়গল।
সম্প্রতি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এনামুল হক ও সায়গল হোসেন। ভার্চুয়ালি হাজিরা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। বিচারক রঘুবীর সিংয়ের বেঞ্চে আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। ভার্চুয়ালি হাজিরার আবেদনের কারণ সম্পর্কে এনামুল-সেহগল জানান, রমজান মাস চলছে। রোজা রাখছেন। তাই আগামী শুনানির দিন আদালতে যাওয়া সম্ভব নয়। অন্তত ওই একটি দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজিরার অনুমতি দেওয়া হোক। এনামুল-সেহগলের এই আবেদন অবশ্য খারিজ করেননি বিচারক। কেবল পরের শুনানির দিন এনামুল ও সেহগল ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজিরা দিতে পারবেন বলে অনুমতি দিয়েছেন বিচারক রঘুবীর সিং।