কলকাতা: কারা দরজা আটকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাসে প্রবেশে বাধা দিয়েছেন? জানতে খোঁজ শুরু করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের সিসিটিভি-র সূত্র ধরে শুরু হয়েছে শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া। গত মঙ্গলবার আদলত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, এজলাসের বাইরের সিসিটিভি দেখে সেই সব ব্যক্তি এবং আইনজীবীদের শনাক্ত করতে হবে। তারপর রেজিস্টারকে শনাক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই খোঁজ শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে বুধবার এজলাসের সামনে থেকে সেই অবস্থান তুলে নেওয়া হয়েছে। আইনজীবীদের একাংশই বাধা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা অবস্থানকারীদের পাশে নেই।
১. বিচারপতির সম্মানহানি হয় এ ধরনের অভিযোগের সঙ্গে তাঁর বাসস্থান নিয়ে ভুল এবং মিথ্যা তথ্য পোস্টারে লেখা হয়েছে।
২. এজলাসে দরজা বাইরে থেকে আটকে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মীদের ভিতরে প্রবেশ করতে না দিয়ে কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা পরিষ্কারভাবে এই সাংবিধানিক আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে।
৩. কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা চোখ রাঙিয়ে, হুমকি দিয়ে , আদালতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেন।
৪. পোস্টারে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আদালতের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে চেয়েছেন। একজন বিচারপতির বাড়ি এবং হাইকোর্ট চত্বরে এই ধরনের মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন এবং বেপরোয়া পোস্টার কলঙ্কজনক। এর মাধ্যমে আদালত এবং বিচারপতিকে কলঙ্কিত করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে।
৫. জনমানসে এবং মানুষের চোখে আদালত এবং বিচারপতির ক্ষমতাকে ছোট করে দেখানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে।
৬. বাইরে থেকে এজলাস বন্ধ করে এবং পোস্টার মেরে কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত মানুষের আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এবার বিচারপতি মান্থা বিতর্কের জল গড়াচ্ছে দিল্লিতে। বিচারপতির এজলাসে ঢুকতে বাধা এবং তাঁর বাড়ির সামনে পোস্টার সাঁটানোর নিন্দায় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিতে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছে আইনজীবী সংগঠন ‘ল’ইয়ার্স ফর জাস্টিস’। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টেয় বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দেবেন ওই সংগঠনের সদস্যরা।