
কলকাতা: পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। চিঠি লিখেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। এবার মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে নিহত পিতা-পুত্রের পরিজনদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসরে নামল জাতীয় মহিলা কমিশন। জাফরাবাদের দাস পরিবারকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকর চিঠি লিখলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। জাফরাবাদে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠে। মৃত পিতা-পুত্র হলেন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। মুর্শিদাবাদ থেকে এসে দাস পরিবারের সদস্যরা কলকাতার সল্টলেকের সেফ হাউসে আশ্রয় নেন। অভিযোগ, রবিবার রাতে বিধাননগর পূর্ব থানার ৪০ জন পুলিশ বিধাননগরের সেফ হাউসে যায়। দরজা ভেঙে নিহতদের পরিবারের লোকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। পুলিশের দাবি, তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে। অথচ নিহতদের পরিবারের লোকজনের দাবি, স্বেচ্ছায় বিধাননগরের সেফ হাউসে এসেছেন তাঁরা।
নিহত হরগোবিন্দ দাসের স্ত্রী আর চন্দন দাসের স্ত্রী জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি লেখেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে চিঠি লিখলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। ডিজিপির কাছ থেকে ঘটনার দ্রুত রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। যে অফিসারদের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটছে তাঁদের সশরীরে হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠালেন। আগামী ৯ তারিখ, তাঁদের সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। সেকথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, ওই পরিবারের পাশে রয়েছেন তিনি।
এদিকে, জাফরাবাদের দাস পরিবার এখন সল্টলেকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন। এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাছে এই পরিবার এসেছে। দল, রং না দেখে তাদের পাশে আমরা আছি। আইনি লড়াইয়েও পাশে থেকে সমস্তরকম সহায়তা করা হবে।”