AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSKM: ওয়ার্ডের রোগীরা ছুটে পালাচ্ছেন, ডাক্তারকে ঠেসে ধরেছে দেওয়ালে… এসএসকেএমে সাংঘাতিক কাণ্ড

SSKM: রবিবার এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ইউনিটের পাঁচতলায়। ওয়ার্ডের ভিতর পরিজনদের ছোড়া স্যালাইনের বোতলে অন্য রোগীর পরিজনেরা ওয়ার্ড ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ। মহিলা ওয়ার্ডের দরজায়ও লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙা হয় কাচ। ওষুধের সিরিঞ্জ, ইঞ্জেকশন ছুড়ে ফেলা হয়। কার্যত তাণ্ডব চলে।

SSKM: ওয়ার্ডের রোগীরা ছুটে পালাচ্ছেন, ডাক্তারকে ঠেসে ধরেছে দেওয়ালে... এসএসকেএমে সাংঘাতিক কাণ্ড
এসএসকেএম হাসপাতাল।Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2024 | 10:48 PM
Share

কলকাতা: আরজি করকাণ্ডে তাণ্ডবের পর এবার এস‌এসকেএমের মতো নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকা হাসপাতালে ভাঙচুর। আবারও নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। এস‌এসকেএমে ভিভিআইপিদের আনাগোনা থাকে। ট্রমা কেয়ারে আর‌ও বেশি নিরাপত্তা থাকা দরকার। সেই এস‌এসকেএমেই আরজি কর কাণ্ডের ৭২ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ভাঙচুর হল। রক্তাক্ত হলেন জুনিয়র চিকিৎসক সুব্রত শূর।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

রবিবার এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ইউনিটের পাঁচতলায়। ওয়ার্ডের ভিতর পরিজনদের ছোড়া স্যালাইনের বোতলে অন্য রোগীর পরিজনেরা ওয়ার্ড ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ। মহিলা ওয়ার্ডের দরজায়ও লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙা হয় কাচ। ওষুধের সিরিঞ্জ, ইঞ্জেকশন ছুড়ে ফেলা হয়। কার্যত তাণ্ডব চলে।

চিকিৎসকদের একাংশ জানান, বুধবার ১৫ বছরের এক নাবালক ভর্তি হয়। তার বোন ক্যান্সার হয়েছে বলে ধারণা ছিল ডাক্তারদের। সেইমতো পরীক্ষানিরীক্ষা চলছিল। এদিন বুকের এক্স-রে করতে পাঠিয়েছিলেন ডাক্তার শূর। এরপর ওই চিকিৎসকের কাছে ফোন আসে, আচমকা রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। চিকিৎসক গিয়ে সিপিআর দিতে শুরু করেন ওই নাবালককে। সে সময় নাবালকের বাবাও ছিলেন। পরে সিনিয়র ডাক্তার এসে বলেন মারা গিয়েছে।

এরপরই নিহতের দুই দাদা এসে গালিগালাজ শুরু করে। অভিযোগ, তছনছ চলে এরপর। হাতের কাছে যা পায়, তাই ছুড়ে ফেলেন। এই পরিস্থিতি দেখে ভয়ে বাকি রোগীরা ওয়ার্ড ছেড়ে পালাতে থাকেন। এরইমধ্যে তিনজন ঘিরে ফেলেন ওই ডাক্তারকে। করিডরের দেওয়ালে চেপে ধরেন। চিৎকার শুনে একজন ওয়ার্ড বয় ও আরও একজন ছুটে এসে কোনওভাবে ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করেন।