Chhat Pujo 2021: দূষণ নিয়ন্ত্রণে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা সরোবর চত্বরে, ঘিরে ফেলা হয়েছে টিন-বাঁশের ব্যারিকেডে

Rabindra Sarobor: সরোবরে ঢোকার সমস্ত গেটে আলাদা করে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছে। যেখানে পাঁচিলের উচ্চতা কম সেখানে টিন লাগানো হয়েছে।

Chhat Pujo 2021: দূষণ নিয়ন্ত্রণে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা সরোবর চত্বরে, ঘিরে ফেলা হয়েছে টিন-বাঁশের ব্যারিকেডে
রবীন্দ্র সরোবরে কড়া পুলিশ প্রহরা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 10:53 AM

কলকাতা: দূষণ এড়াতে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সেই নির্দেশ মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে সরোবর চত্বরে। সরোবরে ঢোকার সমস্ত গেটে আলাদা করে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছে। যেখানে পাঁচিলের উচ্চতা কম সেখানে টিন লাগানো হয়েছে। গেটে গেটে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। আগামিকাল সন্ধে পর্যন্ত পার্ক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। ঢুকতে পারবেন না প্রাতঃভ্রমণকারীরাও। ছট পুজোর জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

২০২০ সালে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো নিষেধ করা হয়। কলকাতার দূষণ তাতে অনেকটাই রোখা সম্ভব হয়। এবছর অত্যন্ত কড়া পুলিশ। যাতে কেউ নিয়ম ভাঙতে না পারেন, তার জন্য কড়া প্রহরা দেওয়া হচ্ছে।

রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ছট পুজোতেই কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব আতসবাজিই বিক্রি করা যাবে। রাত ৮-১০টা পর্যন্ত এই বাজি ফাটানো যাবে। ছট পুজোতেও কেবল ২ ঘণ্টাই এই বাজি ফাটানো যাবে। পাশাপাশি ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের অনুষ্ঠানে কোন সময়ে বাজি ফাটানো যাবে, সেই সময় সীমাও ধার্য করে দিল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের রাতে ১১.৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব আতসবাজি ফাটানো যাবে।

কালীপুজোয় অর্থাত্ বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ২টো নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের কাছে বাজি ফাটানোর মোট ৪৫ টা অভিযোগ জমা পড়ে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার সব প্রান্ত থেকেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগ জমা পড়ে। রাতেই পর্ষদ জানিয়েছে, উত্তর কলকাতার আমর্হাস্ট্র স্ট্রিট থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেহালা, তিলজলা, হরিদেবপুর, পাটুলি, সোনারপুর, দমদম, লেকটাউন কসবার মতো এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে।

পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে আতসবাজি বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি তা বন্ধ না করে নিরাপদ ও কম শব্দ উত্‍পন্ন করে সেই ধরনের বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

মুড়িমুড়কির মতো বাজি ফেটেছে শহর জুড়ে। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা ছিল সবুজ বাজি ছাড়া অন্য কোনও শব্দ বাজি পোড়ানো যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টেরও নিষেধাজ্ঞা ছিল বাজি পোড়ানোর ওপর। কিন্তু কোথায় কী! কলকাতা, সল্টলেক, হাওড়া এমনকি শহরতলিতেও যথেচ্ছ বাজি ফেটেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ।

ছট পুজোতেও বাড়ে দূষণের মাত্রা। তাই ঘাটগুলিতে যাতে আদালতের নির্দেশ মেনেই বাজি পোড়ানো হয়, এবার সেদিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: Jagadhatri Puja Night Curfew: জগদ্ধাত্রী পুজোয় নৈশ বিধি নিষেধ থাকছে কি? আজ নির্দেশিকায় স্পষ্ট করল নবান্ন