কলকাতা: এবার ছোটদের জন্যও স্কুল খোলার ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সরকারি এক অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে এ কথাই জানালেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “স্কুলগুলি চালু হয়েছে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় তৈরি করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় ক্লাস চলছে। আর একেবারে ছোটদেরটা আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করে। যদি কোভিডটা একেবারেই সমস্যার কারণ না হয় খোলা হবে। কারণ আবার কী একটা আসবে বলছে। সেটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সেটা যদি না হয় তা হলে অন্তত ছোট ক্লাস যেগুলো ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস করানো যায় কি না স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখতে হবে। অর্ধেক অর্ধেক করে ভাগাভাগি করে স্কুল করলে সোমবার যারা আসবে, মঙ্গলবার তারা আসবে না। আবার মঙ্গলবার যারা আসবে বুধবার তারা আসবে না। এভাবে হলে প্রাথমিকের ক্লাসগুলো অন্তত চলতে পারে।”
বিরোধীরা বারবার দাবি করেছে, সমস্ত কিছু যখন চলছে তা হলে স্কুলও খুলে দেওয়া হোক সকলের জন্য। শিক্ষার অধিকার একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। প্রাথমিক শিক্ষা ভবিষ্যত প্রজন্মের বুনিয়াদকে দৃঢ় করে। তাই সকলেরই স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করা দরকার। আপাতত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছেলেমেয়েরা স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করছে। পঞ্চম থেকে সপ্তমের পড়ুয়াদের জন্য চলছে পাড়ায় শিক্ষালয়। বাকিরা অনলাইনেই পড়াশোনা করছে। এখানেই বিরোধিতা বিরোধীদের। সকলের কাছে অনলাইন পড়াশোনার পরিকাঠামো নেই, দাবি তাদের। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বহু পড়ুয়া বঞ্চিত হচ্ছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে ইঙ্গিত স্পষ্ট, কোভিড পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকলে প্রাথমিকের জন্যও স্কুল খুলে দেওয়া হবে খুব তাড়াতাড়ি।
এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “আমি তো খুব খুশি। এটাই চাইছিলাম। বিশ্বের সমস্ত দেশে কিন্তু স্কুল খোলা রেখেই সবকিছু হচ্ছে। আমাদের এখানে কেন হবে না? শিশুরা তো ততটা সংক্রমিত হচ্ছে না। ওদের প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে উঠেছে বলেই আইসিএমআরের রিপোর্টে বলা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি স্কুল খোলা যায় ততই ভাল। কারণ স্কুল শুধু ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার জায়গা নয়। ওদের মন মননের বিকাশের জন্য স্কুলে যাওয়াটা খুব দরকার। এই বোধোদয় আরও আগে হলে আমি খুশি হতাম। আবার স্কুলঘরগুলো ওদের কলকাকলিতে ভরে উঠবে। নিঃসন্দেহে ভাল লক্ষণ।”
অন্যদিকে শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, “এই কথা তো আমরা গত কয়েকদিন ধরেই বলছি। এই চিন্তাভাবনাকে ভীষণভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। অতিমারিতে ছেলে মেয়েরা যে জাড্যতার মধ্যে চলে গিয়েছে সেটা থেকে ওদের বের করে আনতে হবে। কখনওই একদিনে সমস্ত ক্লাসের ছেলে মেয়েদের স্কুলে আসবে না। প্রায় দু’ বছর ধরে স্কুল বন্ধ। ফলে ওদের স্কুলে আনানোর ক্ষেত্রে ক্লাস ভাগ করে, রোটেশন মেনেই এগোনো ভাল। আমরা আশা রাখছি শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল এই উদ্যোগ তা কাটিয়ে তুলবে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা: এবার ছোটদের জন্যও স্কুল খোলার ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সরকারি এক অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে এ কথাই জানালেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “স্কুলগুলি চালু হয়েছে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় তৈরি করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় ক্লাস চলছে। আর একেবারে ছোটদেরটা আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করে। যদি কোভিডটা একেবারেই সমস্যার কারণ না হয় খোলা হবে। কারণ আবার কী একটা আসবে বলছে। সেটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সেটা যদি না হয় তা হলে অন্তত ছোট ক্লাস যেগুলো ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস করানো যায় কি না স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখতে হবে। অর্ধেক অর্ধেক করে ভাগাভাগি করে স্কুল করলে সোমবার যারা আসবে, মঙ্গলবার তারা আসবে না। আবার মঙ্গলবার যারা আসবে বুধবার তারা আসবে না। এভাবে হলে প্রাথমিকের ক্লাসগুলো অন্তত চলতে পারে।”
বিরোধীরা বারবার দাবি করেছে, সমস্ত কিছু যখন চলছে তা হলে স্কুলও খুলে দেওয়া হোক সকলের জন্য। শিক্ষার অধিকার একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। প্রাথমিক শিক্ষা ভবিষ্যত প্রজন্মের বুনিয়াদকে দৃঢ় করে। তাই সকলেরই স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করা দরকার। আপাতত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছেলেমেয়েরা স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করছে। পঞ্চম থেকে সপ্তমের পড়ুয়াদের জন্য চলছে পাড়ায় শিক্ষালয়। বাকিরা অনলাইনেই পড়াশোনা করছে। এখানেই বিরোধিতা বিরোধীদের। সকলের কাছে অনলাইন পড়াশোনার পরিকাঠামো নেই, দাবি তাদের। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বহু পড়ুয়া বঞ্চিত হচ্ছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে ইঙ্গিত স্পষ্ট, কোভিড পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকলে প্রাথমিকের জন্যও স্কুল খুলে দেওয়া হবে খুব তাড়াতাড়ি।
এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “আমি তো খুব খুশি। এটাই চাইছিলাম। বিশ্বের সমস্ত দেশে কিন্তু স্কুল খোলা রেখেই সবকিছু হচ্ছে। আমাদের এখানে কেন হবে না? শিশুরা তো ততটা সংক্রমিত হচ্ছে না। ওদের প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে উঠেছে বলেই আইসিএমআরের রিপোর্টে বলা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি স্কুল খোলা যায় ততই ভাল। কারণ স্কুল শুধু ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার জায়গা নয়। ওদের মন মননের বিকাশের জন্য স্কুলে যাওয়াটা খুব দরকার। এই বোধোদয় আরও আগে হলে আমি খুশি হতাম। আবার স্কুলঘরগুলো ওদের কলকাকলিতে ভরে উঠবে। নিঃসন্দেহে ভাল লক্ষণ।”
অন্যদিকে শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, “এই কথা তো আমরা গত কয়েকদিন ধরেই বলছি। এই চিন্তাভাবনাকে ভীষণভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। অতিমারিতে ছেলে মেয়েরা যে জাড্যতার মধ্যে চলে গিয়েছে সেটা থেকে ওদের বের করে আনতে হবে। কখনওই একদিনে সমস্ত ক্লাসের ছেলে মেয়েদের স্কুলে আসবে না। প্রায় দু’ বছর ধরে স্কুল বন্ধ। ফলে ওদের স্কুলে আনানোর ক্ষেত্রে ক্লাস ভাগ করে, রোটেশন মেনেই এগোনো ভাল। আমরা আশা রাখছি শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল এই উদ্যোগ তা কাটিয়ে তুলবে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা