Srikanta Mahato: কেন এত অভিযোগ আসছে? মন্ত্রী শ্রীকান্তকে ভর্ৎসনা মমতার

Minister Srikanta Mahato: ঢিলেঢালা পাজামা-পাঞ্জাবী পরা গ্রাম্য যুবক শ্রীকান্ত মাহাতোর বসবাস শালবনী স্টেশন সংলগ্ন চকতারিণী এলাকার ভাড়া বাড়িতে। তাঁর অনাড়ম্বর জীবনযাত্রা নাকি তৃণমূল নেতৃত্বের বিশেষ পছন্দের। সেই শ্রীকান্ত মাহাতোকে একান্তে ডেকে যখন বকাবকি করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, তার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।

Srikanta Mahato: কেন এত অভিযোগ আসছে? মন্ত্রী শ্রীকান্তকে ভর্ৎসনা মমতার
কেন আচমকা শ্রীকান্তকে বকাবকি করলেন মুখ্যমন্ত্রী? ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2021 | 10:43 PM

কলকাতা: বারবার তিনবার। বিধানসভা ভোটে হ্যাটট্রিক করা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো (Srikanta Mahato) কে এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিন রাজ্যের সেই ক্ষুদ্র মাঝারি ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোকে ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন? সূত্রের খবর, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে বেজায় চটেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, শ্রীকান্তর বিরুদ্ধে নাকি রয়েছে জমি সংক্রান্ত অভিযোগ। আর এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বকুনি খেয়েছেন শালবনির শ্রীকান্ত।

মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্যাবিনেট বৈঠক-ও করেন। সূত্রের খবর, তার মধ্যে একটা সময় একান্তে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যকে বকাবকি করছেন। যা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শ্রীকান্ত মাহাতোকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁর নামে জমি সংক্রান্ত নানা ধরনের অভিযোগ আসছে বলে। আর সেটা মোটেও হালকা ভাবে যে নেওয়া হচ্ছে না, তাও জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শ্রীকান্তর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে তদন্তের পথে-ও হাঁটতে পারে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে শালবনির বিধায়ক তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যকে সাবধানবাণীও শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও কী নিয়ে এই অভিযোগ তার বিস্তারিত তথ্য মেলেনি।

দরিদ্র পরিবারের সন্তান শ্রীকান্ত প্রথম জীবনে প্রাইভেট টিউশনি করেছেন। সর্বদা গায়ে কমদামি ফুলহাতা সাদা জামা, ঢোলা ট্রাউজার অথবা সাদা পাজামা- পাঞ্জাবী আর পায়ে হাওয়াই চটি পরা শ্রীকান্ত মাহাতো তৃণমূলের পুরনো সদস্য। বাম জমানায় শালবনির মতো সিপিএমের শক্তঘাঁটিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি। তার পর ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। এহেন শ্রীকান্তে আস্থা রাখেন মমতা।

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পান তিনি। আস্থার মর্যাদা রেখে জিতেও ছিলেন। তার পর, পরপর তিনবার। এবার তো তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন সিপিএমের হেভিওয়েট নেতা সুশান্ত ঘোষ। তবে শেষ হাসি হাসেন সেই শ্রীকান্তই। তার পুরস্কার হিসাবে জুটেছে মন্ত্রিত্ব। মন্ত্রী হয়ে শ্রীকান্ত বলেছিলেন, ‘‘আজ আমার যা কিছু সবই দিদির জন্য। দিদি একটা কথায় বলেন, মানুষের কাজ করতে। আগামী দিনে আরও দায়িত্ব বাড়ল। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এলাকার বিকাশে নজর দেব।’’

ঢিলেঢালা পাজামা-পাঞ্জাবী পরা গ্রাম্য যুবক শ্রীকান্ত মাহাতোর বসবাস শালবনী স্টেশন সংলগ্ন চকতারিণী এলাকার ভাড়া বাড়িতে। তাঁর অনাড়ম্বর জীবনযাত্রা নাকি তৃণমূল নেতৃত্বের বিশেষ পছন্দের। সেই শ্রীকান্ত মাহাতোকে একান্তে ডেকে যখন বকাবকি করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, তখন তার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘উত্‍সব আটকাবে না’, জগদ্ধাত্রী পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর  

আরও পড়ুন: Duare Ration: দুয়ারে রেশনের চাল যাচ্ছে শুধু তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ঘরে! অভিযোগ ঘিরে বাদুড়িয়ায় তুলকালাম