এ বার যে কোনও জায়গায় চলে যাব…খুঁজে বেড়াবে, আমাকে কোথায় পাবে কোনও ঠিক নেই: মমতা
দু-চাকার ইলেকট্রিক স্কুটারে (Scooty) চেপেই বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে কালীঘাটের বাড়িতে ফিরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফিরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েই মমতা বলেন, "ই-স্কুটার আমি প্রথমদিন চালালাম। এখন তো আমার জন্য খুব সহজ।"
কলকাতা: দু-চাকার ইলেকট্রিক স্কুটারে (Scooty) চেপেই বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে কালীঘাটের বাড়িতে ফিরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিব্যি বোঝা গেল, স্কুটার চালিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন তিনি। কালীঘাট (Kalighat) ফিরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েই মমতা বলেন, “ই-স্কুটার আমি প্রথমদিন চালালাম। এখন তো আমার জন্য (চালানো) খুব সহজ।” এর পরই কিছুটা মজার ছলে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এ বার যে কোনও জায়গায় চলে যাব একা একা। কে কখন খুঁজে বেড়াবে আমায়, কোথায় পাবে কোনও ঠিক নেই। এক দিনেই যদি এতটা (শেখা) হয়ে যায়।”
এইটুকু বলেই পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। অভিযোগের সুরে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা তেলের দাম ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ার পরও দেশে পেট্রোপণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।
যদিও এই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ‘রহস্যের খেলা’ রয়েছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এর পিছনে একটা বড় রহস্যের খেলা আছে। সেই খেলা ঢাকবার জন্য মাঝে মাঝে মিথ্যে কথা বলে জনগণের সঙ্গে ছলনা করা হয়।” মনমোহন জমানার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেই সময় গ্যাসের দাম ছিল ৪০০ টাকা। মোদীর আমলে গ্যাস ৮২০ টাকা। “একটা গৃহস্থের মাসে দুটো গ্যাস লাগে। যদি গ্যাসের দামই মাসে ১৬৫০ টাকা হয়, মানুষ খাবে কী?” প্রশ্ন মমতার। সঙ্গে সংযোজন, “মানুষের জীবন ছাড়া সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।”
অবিলম্বে পেট্রল-ডিজের ও রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর দাবি তুলে মমতা বলেন, “মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে তৃণমূল।” তাঁর হুঙ্কার, “মোদীবাবু, এজেন্সি দেখিয়ে কিচ্ছু করতে পারবেন না। কুম্ভকর্ণদের ঘুম ভাঙুক। যদি না ভাঙে, আমরা ভাঙাব ঘুম।”
আরও পড়ুন: পেট্রোল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নবান্ন থেকে ৬ কিলোমিটার, মমতার ‘স্কুটারযাত্রা’
পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ দিন ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে অভিনব প্রতিবাদে শামিল হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাওয়ার সময় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ইলেকট্রিক স্কুটির পিছনে বসেই গিয়েছিলেন তিনি। তবে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ফেরার সময় দেখা গেল এক অন্য দৃশ্য। হেলমেট মাথায় নিজেই চালকের আসনে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাঁচা হাতে অল্প অল্প করে স্পিড বাড়ানোর চেষ্টাও করলেন। তবে যাঁর উপর রাজ্যের ভার ন্যস্ত, তাঁকে একা ছেড়ে দেননি দেহরক্ষীরা। সর্বক্ষণ স্কুটির পিছনটা ধরে ছিলেন। ধীর গতিতে স্কুটি এগিয়ে নিয়ে গেলেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কিছুটা আগে পর্যন্ত। তারপর ফিরহাদই ফের বসলেন চালকের আসনে। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসলেন তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: ‘তুমিও মানুষ, আমিও মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়’, শাহকে বিঁধলেন অভিষেক