ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়া শিশুদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যকে

খোদ শিশু সুরক্ষা কমিশন জেলাশাসককে চিঠি লিখে জানিয়েছে, অসমে ঘরছাড়া পরিবারগুলির মধ্যে কমপক্ষে ৪২ জন শিশু রয়েছে। যাদের পরিবারের হাতে অবিলম্বে ১ লক্ষ টাকা করে তুলে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।

ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়া শিশুদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যকে
ফাইল ছবি

|

May 28, 2021 | 12:38 AM

কলকাতা: বাংলার ভোট মিটে গেলেও নির্বাচন পরবর্তী হিংসার রেশ এখনও কাটছে না। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জেরে যে একাধিক পরিবার ঘড় ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই পরিবারের শিশুদের জন্য এ বার ক্ষতিপূরণের দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে। এ দিন কোচবিহারের জেলাশাসককে একটি চিঠি লিখে শিশু সুরক্ষা কমিশনের সচিব রুপালি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যেন অবিলম্বে ওই শিশুদের পরিবারের হাতে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়।

বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ পায় গত ২ মে। তারপর থেকেই জেলায় জেলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে সীমাহীনভাবে। এর মধ্যে কোচবিহার জেলা থেকে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসে। অসমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৎকালীন বিদায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেন, প্রাণভয়ে বহু বিজেপি সমর্থকদের পরিবার নাকি সীমান্তের ওপারে গিয়ে অসমে আশ্রয় নিয়েছেন। তারপর থেকে ওই পরিবারগুলি অসমেই রয়েছে বলে দাবি বঙ্গ বিজেপির।

এরপর তিস্তা দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। একের পর এক প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্র। অসমে এবং কোচবিহারে গিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশন, শিশু সুরক্ষা কমিশন। যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে সেখানে ছত্রে ছত্রে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে ভুরিভুরি। এ বার খোদ শিশু সুরক্ষা কমিশন জেলাশাসককে চিঠি লিখে জানিয়েছে, অসমে ঘরছাড়া পরিবারগুলির মধ্যে কমপক্ষে ৪২ জন শিশু রয়েছে। যাদের পরিবারের হাতে অবিলম্বে ১ লক্ষ টাকা করে তুলে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।

আরও পড়ুন: কতটা প্রস্তুতি নিয়ে হলে যাবে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা? কী বলছেন শিক্ষাবিদরা?

শুধু তাই নয়, জেলা প্রশাসনকে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকার যাতে নিশ্চিত করে যে হিংসার কারণে ওই শিশুদের যা যা ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অবিলম্বে পূরণ করা হয়। বই-খাতা থেকে শুরু করে তাদের জামা-কাপড়ের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। এবং ওই শিশুদের যদি কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন হয় সে ব্যবস্থাও রাজ্যকে করতে বলেছে শিশু সুরক্ষা কমিশন।

আরও পড়ুন: লকডাউনের সুফল নাকি অন্য কারণ? একধাক্কায় কমল সংক্রমণের হার, আশার আলো দেখছে বঙ্গবাসী