ম্যাকবুকের পাসওয়ার্ডই ভুলে গিয়েছেন হান! জেরা করতে দোভাষী আনছে এসটিএফ

Jun 18, 2021 | 12:19 PM

চিনের গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হান জুনেইকে। মালদায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে জেরা করছে এসটিএফ।

ম্যাকবুকের পাসওয়ার্ডই ভুলে গিয়েছেন হান! জেরা করতে দোভাষী আনছে এসটিএফ
ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: মালদা থেকে গ্রেফতার হওয়া চিনা (China) গুপ্তচরকে জেরা করছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। ভারত থেকে যে দিনের পর দিন সিমকার্ড সহ একাধিক তথ্য পাচার করেছে ওই চিনা নাগরিক, সেই তথ্য আগেই এসেছে পুলিশের হাতে। কিন্তু এখনও একাধিক তথ্য চেপে যাচ্ছে হান জুনেই (Han Zeune) নামে ওই ব্যক্তি। এমনকি নিজের ম্যাকবুকের পাসওয়ার্ডও দেয়নি হান। আরও তথ্য বের করতে এ বার দোভাষীকে কাজে লাগাতে চায় এসটিএফ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি ইংরেজিতে উত্তর দিলেও বহু তথ্য চেপে যাচ্ছে। তাই খুঁচিয়ে সব তথ্য বের করার জন্য দোভাষর সাহায্য নেওয়া হবে। ধৃত ব্যক্তি সে ক্ষেত্রে চিনা ভাষাতেই উত্তর দিতে পারবে। সেটাই অনুবাদ করে বুঝিয়ে দেবেন দোভাষী। আরও জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির কাছে একটি অ্যাপল ম্যাকবুক রয়েছে। সেই ম্যাকবুকের পাসওয়ার্ডও এখনও পাওয়া যায়নি। হান নাকি জানিয়েছেন, তাঁর পাসওয়ার্ড মনে নেই। ওই পাসওয়ার্ড ফেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ। হোটেল ছাড়াও ভারতে তাঁর মাংস রফতানির ব্যবসা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, ভারতীয় সিম বিদেশে পাচার করার ও গুপ্তচর বৃত্তির।

আরও পড়ুন: ‘করোনায় বিধ্বস্ত ভারত’, অপূরণীয় ক্ষতির জন্য চিনের কাছে ফের ক্ষতিপূরণ চাইলেন ট্রাম্প

চিনা নাগরিক হান জুনেইকে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। এই চিনা নাগরিকের সঙ্গে চিনের সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনাও ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে হাওলাযোগের সম্ভাবনাও প্রখর বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। মালদহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ধৃত হান জুনেই-এর তদন্তভার ইতিমধ্যেই এসটিএফের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। কলকাতাতে আনাও হয়েছে হানকে। এসটিএফের সদর দফতরে বৃহস্পতিবার এই চিনা নাগরিককে জেরা করেন তদন্তকারীরা।

সূত্রের খবর, হান জুনেইকে জেরায় উঠে আসছে হাওয়ালা যোগ। ২০১৯ সালে ভারতের গুরুগ্রামে স্টার্ট স্প্রিং হোটেল নামে আট কোটি টাকার একটি হোটেল কিনেছিলেন হান। কিন্তু এই বিপুল টাকা তিনি কোথা থেকে পেলেন? সে প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়েই তদন্তকারীরা জানতে পারছেন বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, ভারত ও চিনে হাওয়ালার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন চলত হানের। হোটেল ছাড়াও ভারতে আরও সম্পত্তি রয়েছে হানের। সেগুলি কোথায় এবং কার কার নামে তা জানার চেষ্টা চলছে।

Next Article