কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে সিবিআই ও ইডি। চার্জশিটে উঠে এসেছে একের পর এক প্রভাবশালীর নাম। শিক্ষক ও পুর নিয়োগে বিপুল অঙ্কের দুর্নীতির অভিযোগে, বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জেলে বন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আর এবার সামনে এল বিনয় তামাং-এর নাম। মঙ্গলবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। সেই রিপোর্টেই রয়েছে বিনয় তামাং-এর নাম। জিটিএ-র নির্বাচিত সদস্য বিনয় তামাং একসময় তৃণমূলে থাকলেও, গত বছরের শেষ দিকে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে।
গোথা হাইস্কুলের এক শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কার্যত কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে এসেছে। ওই শিক্ষকের নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ যাচাই করতে তদন্ত করছে সিআইডি। সেই তদন্তের মধ্যেই সিআইডি-র হাতে এসেছে এক সরকারি আধিকারিকের চিঠি। মামলার সূত্রে খামে ভরে সেই চিঠি জমা পড়েছে আদালতে। সিআইডি-কে ওই মামলায় হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নাম।
অভিযোগ, জিটিএ এলাকায় অর্থাৎ পাহাড়ে ৩২৩ জন শিক্ষকের নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। এ কথা জানিয়েই বিচারপতির কাছে এক সরকারি অধিকারিকের চিঠি জমা পড়েছে। সূত্রের খবর, চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ওই নিয়োগ দুর্নীতি আদতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিনয় তামাং-এর মস্তিষ্ক প্রসূত। এমনকী এই দুর্নীতি সংগঠিত করার পিছনে একজন ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর বা ডিআই এবং তৃণমূল ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নামও উঠে আসছে বলে অভিযোগ। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতার হাত আছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “যদি এই অভিযোগের সঙ্গে দূর-দূরান্তেও কোনও যোগ পাওয়া যায়, তাহলে যে কোনও শাস্তি পেতে প্রস্তুত। নির্বাচন সামনে এলে এমন অনেক অভিযোগ সামনে আসবে। এগুলো নিয়ে ভাবার সময় নেই। তবে ভেবে ভাল লাগছে, ছাত্রনেতাদেরও আজকাল ভয় পাচ্ছে।”