
কল্যাণী: শাসক দলের বিরুদ্ধে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে নেতা-মন্ত্রীদের। আর এবার পাল্টা অভিযোগ। গেরুয়া শিবিরের নেতারা নাকি তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের চাকরি পাইয়ে দিচ্ছেন কল্যাণী এইমসে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপিরই এক নেতা। সেই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে কল্যাণী থানায়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তভার নিল সিআইডি। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারেরও।
অভিযোগ, কারও মেয়ে, কারও পুত্রবধূ চাকরি পেয়েছেন এইমসে। আর সেই চাকরি হয়েছে যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, প্রভাব খাটিয়ে। ঘটনায় দুই সাংসদ সহ একাধিক নেতার নাম উঠে এসেছে। বিজেপির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। পদ্ম শিবিরের দাবি, এসএসসি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে বলে এটা রাজ্যের পাল্টা চাল।
ঘটনাটি সামনে আসে গত ৬ মে। ওই দিন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় একটি চিঠি লিখেছিলেন অমিত শাহকে। সেখানেই তিনি জানান, দলের একাধিক নেতা ক্ষমতা আর প্রভাবের জোরে অনেক পরিজনকেই চাকরি পাইয়ে দিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, যাঁরা এ ভাবে চাকরি পেয়েছেন সেই তালিকায় রয়েছে, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে, নদিয়ার চাকদহের বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ। কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও সাংসদ জগন্নাথ সরকারও প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে কল্যাণী থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। আর সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। এ বিষয়ে নীলাদ্রিশেখর দানা ও বঙ্কিম ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে তাঁরা কেউ এইমসে সরকারি চাকরি করেন না। কল্যাণী এইমসের আওতাধীন বেসরকারি সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি দুই বিধায়কের। তবে সুভাষ সরকার ও জগন্নাথ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তাঁদের দু’জনেরই ফোন বন্ধ।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক অপচেষ্টা চলছে। তৃণমূলের তরফে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই এফআইআর করা হয়েছে।”