কলকাতা: আন্দোলনের ধাক্কায় স্বাস্থ্য ভবনে সাফাই অভিযান? স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মাত্রাছাড়া দুর্নীতিকে নিশানা জুনিয়র চিকিৎসকদের। জুনিয়র চিকিৎসকদের ক্ষোভের মুখে একের পর এক তদন্ত কমিটি। রামপুরহাটের অধ্যক্ষ করবী বড়াল থেকে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিটি কমিটিরই মুখ স্বাস্থ্য প্রশাসনের সমালোচকেরা। গ্রিভান্স সেলে চিকিৎসক সৌরভ দত্ত, যোগীরাজ রায়, দেবব্রত দাস। আরজি কর পর্বে উত্তরবঙ্গ লবি’র প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন এই তিন চিকিৎসক।
করবী বড়াল, অভীক দে, বিরপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য এনআরএসের অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তী, সাগর দত্তের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ উৎপল দাঁ। তিলোত্তমার খুন-ধর্ষণের ঘটনায় সকলেই কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্য ভবনের। এসএসকেএমের কনভেনশনে মুখ খুলেছিলেন সেখানকার ডিন অব স্টুডেন্টস অভিজিৎ হাজরা। অভীক দে’র বিরুদ্ধে গঠিত কমিটির তিনি অন্যতম সদস্য
গত ১৪ অগস্টের ঘটনার পর আরজি করের যে চিকিৎসক প্রথম মুখ খুলেছিলেন তিনি ইএনটি’র দেবব্রত দাস। তাঁর নামও গ্রিভান্স সেলে রয়েছে। আবার চিকিৎসক যোগীরাজ রায় আন্দোলনের সময় ধারাবাহিক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন। তাঁকেও গ্রিভান্স সেলের সদস্য করতে পিছপা হয়নি স্বাস্থ্য ভবন। রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থেই এ যেন উলটপুরাণ। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।