কলকাতা: বিধায়ক নওশাদ সিদ্দীকি (Nawsad Siddique) ঘনিষ্ঠ এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে তলব। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীকে তলব করেছে লালবাজার (Lalbazar)। গত দু’দিন ধরে ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং অফিসে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও, ব্যবসায়ীর দাবি তিনি নওশাদের সঙ্গে কোনও কিছুতেই জড়িত নন।
লালবাজার সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর নাম শেখ শামসুর আলম। তাঁর বাড়ি ভাঙড়ে। নওশাদ (Nawsad Siddique) ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে ঝামেলার দিনের ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না জানতেই তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। আদালত সূত্রে খবর, বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় শুক্রবার শামসুরকে তলব করেছে লালবাজার। এই বিষয়ে ওই ব্যবসায়ীর বক্তব্য, নওশাদ সিদ্দীকি তাঁর শুধুই পরিচিত। সেই কারণে তাঁকে তলব করা হচ্ছে। তিনি গ্রেফতার হতে পারেন এমনটাই আশঙ্কা করছেন।
শামসুরের অভিযোগ, শুধুমাত্র নওশাদ তাঁর পরিচিত বলেই পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। তাই তাঁকে যদি গ্রেফতার করা হয় সেই কারণে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির জন্য এসেছেন। আপাতত মামলা শোনার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি। আগামিকাল হবে এই মামলার শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় (Dharmatala) পুলিশের সঙ্গে আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা পথ অবরোধ শুরু করলে তাঁদের হটাতে যায় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে নওশাদ শিবিরের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা ধর্মতলা চত্বর। গ্রেফতার করা হয় নওশাদ আরও ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থককে। শহর কলকাতার পৃথক তিনটি থানাতে নওশাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছিল। তোলা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কয়েকদিন আগে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চলতি মাসের শুরুতে তাঁদের ফের তোলা হয় আদালতে। সেদিনও মেলেনি জামিন। ১৪ দিনের জন্য নওশাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মেয়াদ শেষের পর বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায় তাঁর। ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে নওশাদকে।