
কলকাতা: আগামী ৯ তারিখ দিল্লি যাওয়ার সম্ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দু’দিনের জন্য এই সফরে মূলত রাজ্যের বকেয়া আদায় করতেই মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। রাজ্যের পাওনা ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার বকেয়া পরিশোধ করার কথা বলতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২০২০ সাল থেকে কেন্দ্রের কাছে বাকি রয়েছে রাজ্যের বকেয়া। একশো দিনের প্রকল্পের টাকার দাবিতে এবার আগেও দিল্লির রাস্তায় সরগরম করেছে তৃণমূল। একশো দিনের কাজের তো বটেই, টাকা বকেয়া রয়েছে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা, আবাস যোজনার টাকাও। সূত্রের খবর, ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। শাসকদলের বক্তব্য, বারবার বকেয়া টাকার দাবিতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি। এর আগে রেড রোডেও অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া হয়। আবাস যোজনার টাকাও রাজ্যের তহবিল থেকেই দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে চাপ বাড়ে রাজ্যের ভাণ্ডারে।
এদিকে, ৯ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। সেখানেও একাধিক জরুরি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। বিভিন্ন বিল পাশ হওয়ার কথা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করাটাই স্বাভাবিক। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত যান না , সেটাই অস্বাভাবিক। নীতি আয়োগের মিটিংয়েই তো দেখা গেল, রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও তামিলনাড়ুর মুখ্য়মন্ত্রী স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন. হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু, পঞ্চাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেছেন। কেন মুখ্যমন্ত্রী ওই ফোরামটা ব্যবহার করলেন না? কেন নীতি আয়োগের বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধি পাঠান না?”