
কলকাতা: বেশিদিন আগে নয়। এই তো জানুয়ারি মাসের কথা। হঠাৎ একদিন আচমকা নবান্নে হাজির অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দিদির’ দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন ছোট পর্দার ‘দিদি নম্বর ১’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। নবান্নে বেশ কিছুক্ষণ মমতার সঙ্গে কথা হয় রচনার। আর এবার রচনার রিয়েলিটি শো’তে হাজির রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা বিনোদন চ্যানেলের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো’য়ে এবার অংশ নিলেন মমতা স্বয়ং। বুধবার সেই এপিসোডের শ্যুটিং ছিল। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, সঙ্গে অন্য প্রতিযোগীরাও ছিলেন। যেমন, নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী অরুন্ধতী হোম চৌধুরী।
বুধবার ওই রিয়েলিটি শোয়ের শ্যুটিং করতে ঢোকার সময় এবং বেরনোর সময় মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কিছু দৃশ্যও ধরা পড়েছে। বিশেষ কোনও মন্তব্য না করলেও শ্যুটিং সেরে বেরনোর সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকেই বলে গেলেন, শ্যুটিং ভাল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শ্যুটিং করতে পেরে আপ্লুত রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চালক অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বললেন, ‘কিছু বলার নেই। আমি চিরকৃতজ্ঞ দিদির কাছে। আমার এত বছরের শোয়ের যে নাম, তা আজ যথাযথভাবে পূরণ হয়েছে। ভীষণ থ্রিলড। ভীষণ খুশি।’
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই রিয়েলিটি শোয়ের শ্যুটিং ঘিরে লাগতে শুরু করেছে রাজনীতির রংও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যেমন উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এখন শ্যুটিং করতে ব্যস্ত। তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না। তিনি শ্যুটিং করছেন।’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন। বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী একবার এলাকায় যেতে পারলেন না। যখন সন্দেশখালি জ্বলছে, ওনার সন্দেশখালিতে যাওয়ার সময় নেই, উনি রিয়েলিটি শো’য়ে গিয়ে বসে থাকছেন। আমি ধিক্কার জানাচ্ছি।’
যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের ইচ্ছেমতো যাবেন নাকি। সারা বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরে বেড়ান। তাঁর প্রশাসনের লোকেরা যাচ্ছেন, তৃণমূলের প্রতিনিধিরা যাচ্ছেন।’ উল্টে মণিপুর প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি শিবিরকে খোঁচা দিয়েছেন কুণাল।