
কলকাতা: এসআইআর (SIR) নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অবিলম্বে এসআইআর স্থগিত করে বিএলওদের প্রশিক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পরিকল্পনাহীন ভাবে কর্তব্যরত আধিকারিকদের ও মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। এমন এসআইআর প্রক্রিয়া বিপজ্জনক। কমিশনকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সংশ্লিষ্ট চিঠির একদম শেষ অংশে মুখ্যমন্ত্রী কয়েকটি লাইন উল্লেখ করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘চলমান এসআইআর প্রক্রিয়া বন্ধ করুন। কারও উপরে জবরদস্তি বন্ধ করুন। যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা দিন।’ এখানে জবরদস্তির অর্থ হচ্ছে, মমতা বোঝাতে চেয়েছেন, ক্রমবর্ধমান চাপ দেওয়া হচ্ছে বিএলও-দের উপরে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এসআইআর-এর কাজ শেষ করতে যেখানে সময় লাগা উচিত তিন বছর। সেখানে বিএলওদের উপর জোর খাটিয়ে তিন মাসে কাজ শেষ করতে চাইছে কমিশন।
একই সঙ্গে তিনি ধান কাটার মরশুমের কথা উল্লেখ করেন। লিখেছেন, “বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে আমন ধানের কাটাই পুরোদমে চলছে, যা চলবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। পাশাপাশি রবি শস্য—বিশেষ করে আলুর—রোপণও চলছে, যা সময়সীমা–নির্ভর কৃষিকাজ। লক্ষ লক্ষ কৃষক ও শ্রমিক মাঠে ব্যস্ত থাকায় এই সময় সাধারণ মানুষকে ঘরে পেয়ে SIR–এর কাজ করা কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।”
একই সঙ্গে জলপাইগুড়ির মাল এলাকার যে বিএলও আত্মহত্যা করেছেন, তিনিও যে ক্রমবর্ধমান চাপের জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য,’এই সঙ্কটময় সময়ে নির্বাচন কমিশনের এই আচরণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’ রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বলেন, “ECI দেখবে সবটা। আমরা দেখব না।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একের পর এক বিএলও-দের অসুস্থতার খবর সামনে এসেছে। আবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে এক বিএলও আত্মহত্যা করেন। আজ আবার কোন্নগরে এসআইআর-এর ফর্ম বিলি করতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান বিএলও তপতী বিশ্বাস। হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক জানান,সেরিব্রালে অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। শরীরের বাম দিক নিঃসাড়। আপাতত কোন্নগর পৌরসভা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।