কখনও অটোয়, কখনও চার চাকায়, কয়লাকাণ্ডে রাজ্যের ১৫ জায়গায় হানা ইডির

আজই আবার কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) ব্যবসায়ী রণধীর বার্নওয়ালের বাঁশদ্রোণীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)।

কখনও অটোয়, কখনও চার চাকায়, কয়লাকাণ্ডে রাজ্যের ১৫ জায়গায় হানা ইডির
কখনও চার চাকার গাড়ি, কখনও অটোয় ঘুরতে দেখা গেল তদন্তকারীদের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 26, 2021 | 4:08 PM

কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam) রাজ্যের ১৫টি জায়গায় ইডির (ED) হানা। সঙ্গে আধা সেনা। শুধু কলকাতাই নয় শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল দুর্গাপুরের পাশাপাশি পুরুলিয়াতেও অভিযান চালায় তদন্তকারীরা। লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অফিস ও বাড়িতে হানা দেয় তারা। বৃহস্পতিবারই দিল্লির ইডি দফতরে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় বলে সূত্রের খবর। এরপরই তাদের অভিযানের তৎপরতা। কলকাতার পাশাপাশি দিল্লি ও ওড়িশা থেকেও এদিন ইডি আধিকারিকরা আসেন।

গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যজুড়ে কয়লাকাণ্ডে নিত্য নতুন মোড়। নাম জড়াতে শুরু করেছে প্রভাবশালীদেরও। সিবিআইয়ের সঙ্গে একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডিও। এর আগেও এ রাজ্যে হানা দিয়েছিল ইডি। এ দিন আরও একবার সে ছবিই দেখা গেল। সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সে তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে এ দিন অভিযানে নামেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে চলে ‘অপারেশন’। সল্টলেক থেকে একটি গাড়ি বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমের ‘নজরদারি’ বুঝতে পেরে নতুন কৌশল নেন তদন্তকারীরা। চার চাকার গাড়ি থেকে নেমে অটোয় উঠে পড়ে ইডি আধিকারিকদের একটি দল।

আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে কলকাতার আরও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই

কলকাতার মানিকতলা, ফুলবাগান, চাঁদনি চক, বড়বাজার, কালাকার স্ট্রিট, এমজি রোড, প্রিন্সেপ ঘাট-সহ একাধিক জায়গায় ঘুরতে দেখা যায় ইডির গাড়ি। এরপরই কালাকার স্ট্রিটে কয়লা পাচারের চাঁই অনুপ মাজি ওরফে লালার এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের অফিসে হানা দেয় তারা। সুভাষ আগরওয়াল নামে ওই ব্যক্তির অফিসে চলে তল্লাশি। সূত্রের খবর, পুরুলিয়া-বর্ধমান-আসানসোল-দুর্গাপুর—সহ কলকাতার বিভিন্ন লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীই এ দিন ইডির রাডারে ছিল। মূলত বেআইনি আর্থিক লেনদেন এবং টাকার উৎস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার জন্য এই তল্লাশি বলে খবর।

এদিনই আবার কয়লা পাচারকাণ্ডে ব্যবসায়ী রণধীর বার্নওয়ালের বাঁশদ্রোণীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। প্রভাবশালীদের টাকা রাখার অভিযোগ রণধীরের বিরুদ্ধে। এদিন তাঁর ডালহৌসির অফিসেও যায় তারা। টাকা ভাঙার মেশিন নিয়ে এদিন হাজির হন তদন্তকারীরা।