AI এর পুরো নাম ‘অমৃত ইন্টালিজেন্স’? নামকরণের ‘সার্থকতা’ বোঝাতেই তুমুল বিতর্ক
Artificial Intelligence: AICTE বলছে, কুম্ভমেলার সঙ্গে যেমন ভারতের ঐতিহ্য, আধ্যাত্বিকতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে, কুম্ভমেলা যেমন নদী-মানবতা-আধ্যাত্বিকতার সংমিশ্রন তেমনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ডেটা, অ্যালগরিদম, কম্পিউটেশনাল পাওয়ারের সহাবস্থান বা মিশেল দেখা যায়।
কলকাতা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতির উপর বিশেষ জোর। নতুন বছরেই নতুন উদ্যোগ। উৎসর্গ ২০২৫। সোজা কথায়, চলতি বছর হতে চলছে AI এর বছর। প্রযুক্তি শিক্ষা সংসদের নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশেষ নির্দেশ AICTE চেয়ারম্যানের। AI কে গুরুত্ব দিয়ে কুম্ভ মেলার সঙ্গে তুলনা, AI এর পুরো নাম অমৃত ইন্টালিজেন্স বলে দাবি। তা ঘিরেই তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।
AICTE বলছে, কুম্ভমেলার সঙ্গে যেমন ভারতের ঐতিহ্য, আধ্যাত্বিকতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে, কুম্ভমেলা যেমন নদী-মানবতা-আধ্যাত্বিকতার সংমিশ্রন তেমনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ডেটা, অ্যালগরিদম, কম্পিউটেশনাল পাওয়ারের সহাবস্থান বা মিশেল দেখা যায়। AI এর তিনটি বিষয়কে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গে তুলনাও করা হচ্ছে।
AICTE এর নির্দেশিকা অনুযায়ী তথ্য (Data) হল গঙ্গা। সমাধান পদ্ধতি(Algorithm) হল যমুনা। গণনা পদ্ধতি (Computational power) হল সরস্বতী। কিন্তু, হঠাৎ পুরানের সঙ্গে AI এর এহেন তুলনা কেন? তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নানা মত উঠে আসছে শিক্ষাবিদদের তরফেও। এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক নন্দিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, আসলে এখন বিজ্ঞানকে প্রাচীনকালের বিভিন্ন ধারনা দিয়ে ম্যাপিং করার চেষ্টা হচ্ছে। ফলে সামগ্রিক শিক্ষ ব্যবস্থার মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। AICTE চেয়ারম্যানের এই চিন্তা-ভাবনায় আসলে এতদিনের কম্পিউটার সায়েন্সর যে গতিপ্রকৃতি তা সম্পূর্ণভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছে। বিষয়টাকে এমনভাবে গুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা পড়ুয়াদের কাছে ভয়ঙ্কর বার্তা নিয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে পড়ুয়ারা বিজ্ঞানের উপর ভরসা না রেখে গল্প কথার উপর নির্ভর করতে শুরু করবে। কিন্তু, শিক্ষা তো বিজ্ঞান নির্ভর হওয়া দরকার।
এই খবরটিও পড়ুন
প্রসঙ্গত, কিছু বছর আগে চিকিৎসকদের ‘হিপোক্রেটিক ওথ’ নাম বদলে ‘চরক শপথ’ করা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। চিকিৎসক শপথে ‘গৈরিকীকরণে’র অভিযোগও উঠেছিল। প্রসঙ্গত, পেশায় হাতেখড়ির আগে গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটসের নামাঙ্কিত শপথ পাঠ করেন হবু ডাক্তারেরা। সেটাকেই মূলত ‘হিপোক্রেটিক ওথ’ বলা হয়। অন্যদিকে প্রাচীন ভারতের চিকিৎসার ‘জনক’ বলা হয় মহর্ষি চরককে।