কলকাতা : মোবাইল গেমিং অ্যাপ খুলে প্রতারণার কাণ্ডে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে। ই-নাগেট গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে চলত প্রতারণা। এই নিয়ে ২০২১ সালেই ফেব্রুয়ারি মাসে পার্ক স্ট্রিট থানায় আমির খান এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও এতদিনে এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ইডির অভিযানে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা। তাহলে দেড় বছর আগেই অভিযোগ পাওয়ার পরও কেন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারল না পুলিশ? তাহলে কি পুলিশের কাছে কোনও খবর ছিল না? কলকাতা পুলিশ কি আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে এই মোবাইল অ্যাপটি কোথা থেকে চলছে তা বের করার চেষ্টা করেছিল? এমন বেশ কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য,গার্ডেনরিচ এলাকার যে জায়গা থেকে এই বিপুল অঙ্কের টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, তার থেকে থানার দূরত্ব খুব বেশি নয়। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, নজরদারির বিষয় নিয়ে। পুলিশের কাছে কি কোনও খবরই ছিল না এই বিষয়ে? প্রশ্ন উঠছে, তাহলে অনলাইনে অপরাধ আটকানোর জন্য এত যে সাইবার ক্রাইম সেল, সাইবার ক্রাইম থানা তৈরি করা হচ্ছে, তাতে শেষ পর্যন্ত কতটা উপকৃত হচ্ছেন আমজনতা? শেষ পর্যন্ত তো সেই প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের।
প্রসঙ্গত, ইডির তরফে এদিন জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা পুলিশের পার্কস্ট্রিট থানায় এই ঘটনা নিয়ে নাসের খানের ছেলে আমির খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ফেডারেল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্তও গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই এদিন তদন্তে নেমে উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, গত দেড় বছরে কী করছিল পুলিশ? পুলিশের নজরে কি কিছুই আসেনি? এমন বেশ কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।