কলকাতা : ধনখড় জমানা এখন অতীত। বাংলার রাজ্যপালের মসনদে বসেছেন সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যেন স্মৃতির পাতায় চলে গিয়েছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের খবর। উল্টে এবার থেকে রাজ্য-রাজ্যপাল-বিকাশভবন একযোগে কাজ করবে,রাজভবনে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এরইমধ্যে আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে বাংলা শিখতে সরস্বতী পুজোতে হাতেখড়িও হয়ে গিয়েছে রাজ্যপালের। তারপরেই আবার উড়ে গিয়েছেন দিল্লিতে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে। এই সামগ্রিক পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছে কংগ্রেস? এ বিষয়ে ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি-৯ বাংলার (TV-9 Bangla) ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাটার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলা ভাষা শেখার পাশাপাশি রাজ্যপালকে আগে শিখতে হবে বাংলার রাজনীতির অ আ ক খ।
খানিক তির্যক মন্তব্য করে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “বর্তমান রাজ্যপাল কোন রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এখন তিনি রাজ্য সরকার যা বলছে, যা করছে বোঝার চেষ্টা করছেন। অপেক্ষা করছেন গতিবিধি বোঝার। উনি তো দিল্লিতে গিয়েছেন। সেখানে বাংলা মিডিয়াম স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছেন।” এরইমধ্যে রাজ্যপালের মুখে শোনা গিয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা। তবে কি দু নৌকায় পা দিয়ে চলছেন রাজ্যপাল? নাকি নতুন করে মাপতে চাইছেন বঙ্গ রাজনীতির জল? এ বিষয়ে প্রদীপের অকপট উত্তর, “দিল্লি গিয়ে মোদীর প্রশংসা করেছেন। একজন রাজ্যপালের জন্য এটা কী শোভনীয়? আমি বলব শোভা পায় না। আবার অনেকে বলছেন উনি দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর লোক হয়ে কাজ করবেন আর পশ্চিমবঙ্গে এলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করবেন। কোনটাই যে ঠিক, আর কোনটাই বেঠিক সেটা এই মুহূর্তে বলা খুব মুশকিল। আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।”
একইসঙ্গে রাজ্যপালকে তাঁর দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রদীপ বলেন, “সংবিধানে যে নিয়ম আছে সেগুলি যদি উনি যথাযথভাবে পালন না করেন তাহলে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক হবে। উনি একজন পুরনো দিনের আইএএস অফিসার। কেউ কেউ বলছেন উনি দুঁদে অফিসার। এবার দুঁদে অফিসার মানে অনেকরকমই হতে পারে। অনেক দুঁদে অফিসার প্রয়োজন বুঝে খোলস বদলান। আবার অনেকে আছেন সত্যি সত্যি আইন মেনে কাজ করেন। উনি কোনদিক দি%A