Humayun Kabir: যোগ দিচ্ছেন কংগ্রেসে? হুমায়ুনকে ফোন করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী? কী বলছেন অধীর?

Humayun Kabir: যদিও এত জল্পনার মধ্যে কী কথা হয়েছে, প্ল্য়ান কী কিছুই খোলসা করতে রাজি নন হুমায়ুন। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে শুধু বললেন, “আমাকে যদি কেউ অবজ্ঞা করে, আমাকে যদি কেউ সময়মতো যোগ্য সম্মান না দেয় তাহলে সেই সম্মান ফিরে পেতে যে কোনও রাস্তা অবলম্বন করতে পারি।”

Humayun Kabir: যোগ দিচ্ছেন কংগ্রেসে? হুমায়ুনকে ফোন করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী? কী বলছেন অধীর?
কী বলছেন অধীর? Image Credit source: Facebook

| Edited By: জয়দীপ দাস

May 23, 2025 | 9:28 PM

কলকাতা: ‘পার্টি লাইনের’ বাইরে বেরিয়ে একাধিকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। শোকজ নোটিসও পৌঁছেছে ঘরে। কিন্তু, তারপরেও হুমায়ুন যে হুমায়ুনেই আছেন তা যেন আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। মুসলিমদের মন বুঝতে দলের অনুমতি না নিয়ে নিজেই করছেন সমীক্ষা। বাছাই করা মুসলিম ভোটার অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সমীক্ষা চালাচ্ছেন। তৈরি হয়েছে স্পেশ্যাল টিম। কয়েকদিন আগে নিজেই এ কথা বলেছেন। এরইমধ্যে বলে ফেলেছেন আরও বিস্ফোরক কথা। শীঘ্রই কী দলবদল করছেন হুমায়ুন? যাচ্ছেন কংগ্রেসে? প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করা নিয়ে জল্পনা চলছে। হুমায়ুন যদিও বলছেন, “কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁর কোনও লোক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রয়োজন মনে করি না।”

যদিও প্রিয়ঙ্কার যোগাযোগ করার খবর শুনে থ প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনি বলছেন, আমার এই ধরনের খবর জানা নেই। আমি শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। হুমায়ুন যদিও বলছেন, “যোগাযোগ করতেই পারেন। একজন রাজনৈতিক কর্মীকে দিয়ে যদি কোনও পার্টির কোনও উপহার হয় তাহলে তাঁরা যোগাযোগ করতেই পারেন।” অধীর যদিও বলছেন, “প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মতো ব্যক্তির যে ওনাকে নিয়ে কেন মাথাব্যথা হবে তা আমার জানা নেই। এটা আমার ব্যখ্য়ার বাইরে।”  

যদিও এত জল্পনার মধ্যে কী কথা হয়েছে, প্ল্য়ান কী কিছুই খোলসা করতে রাজি নন হুমায়ুন। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে শুধু বললেন, “আমাকে যদি কেউ অবজ্ঞা করে, আমাকে যদি কেউ সময়মতো যোগ্য সম্মান না দেয় তাহলে সেই সম্মান ফিরে পেতে যে কোনও রাস্তা অবলম্বন করতে পারি।” 

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৮.০২ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৩৮.১৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভোট কমে হয় ৪৫.৭৬ শতাংশ। বিজেপির ভোট খানিক বেড়ে হয় ৩৯.০৮ শতাংশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মতে মোট ভোটের মধ্যে থাকা মুসলিম ভোটের সামান্য অংশ যদি তৃণমূল থেকে ছিটকে যায় তাহলে বড় লাভ ঘরে তুলতে পারে বিজেপি। এমতাবস্থায় মুসলিম ভোট ধরে রাখতে যে তৃণমূল মরিয়া তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমতাবস্থায় হুমায়ুন দলবদল করলে তা দলের জন্য বড় ধাক্কা হবে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের। দলের উপর যে হুমায়ুনের ক্ষোভ বাড়ছে তা আগেও একাধিকবার আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। ১৫ মার্চ তো স্পষ্টতই বলেছিলেন, “ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূল যদি কোথাও আমাকে লড়ার সুযোগ দেয় তাহলে নিশ্চয় নেত্রীর সম্মানে আমি ভোটে লড়ব। যদি সেটা না দেয় তখন আমি কার হয়ে লড়ব, কার সঙ্গে বোঝাপড়া করে লড়ব নাকি আমি নিজেই দল খুলে লড়ব সেটা ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দেব।” এখন দেখার শেষ পর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায়।