কলকাতা: লক্ষ্য তৃণমূলের দুর্নীতির পর্দাফাঁস। আর সেই লক্ষ্যে একটি নতুন ই-মেইল আইডি খুলল পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ যুব কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ যুব কংগ্রেস ও প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচীর উদ্যোগে এই ই-মেইল আইডি খোলা হয়েছে। ই-মেইল আইডিটি হল, বাংলার লজ্জা তৃণমূল ডট কম (banglarlojjatrinamool@gmail.com)। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে যাঁরা দুর্নীতির শিকার হয়েছেন, তাঁদের এই ই-মেইল অ্যাড্রেসে মেইল করে তাঁদের অভিযোগ জানানোর জন্য আহ্বান করেছে যুব কংগ্রেস। যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে যেসব দুর্নীতির ঘটনা প্রকাস পেয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। গোটা হিমশৈলটা এখনও জলের নীচে। এই ই-মেইলের মাধ্যমেই তৃণমূল জমানার সমস্ত দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসবে। জনগন ই-মেইল করে যা বলবেন, তাই তুলে ধরবে কংগ্রেস। যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ই-মেইলে যাঁরা তথ্য পাঠাবেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন, তাঁদের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে।
যুব কংগ্রেসের এই উদ্যোগ, আসলে তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের একই ধরনের উদ্যোগের নকল বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। এই বিষয়ে কুনাল বলেছেন, “এগুলো ছেলেমানুষী। দেবাংশুকে নকল করেছে। দেবাংশু কাল সবে একটা দিয়েছে। ছেলেমানুষ ছেলে সব, নকল করে ফেলেছে। কী সমস্যা বলুন তো। এখন টুপি পড়তে হচ্ছে। নেড়া থাকার শপথ নিলে তো নেড়াই থাকা উচিত। নেড়া শপথ হলে টুপি থাকবে কেন, টুপির নীচে চুল থাকবে কেন? এগুলো সব ছেলেমানুষী।”
শনিবারই, বাম আমলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ই-মেল আইডি চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাম আমলে যাঁরা যোগ্য হয়েও সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করতে এক বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ‘CPIM Cheated US’, অর্থাৎ ‘সিপিআইএম আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে’, এই নামে একটি প্রচার অভিযান চালু করা হয়েছে। CpmCheatedUs@gmail.com (সিপিআইএমচিটেডআস ডট কম) নামে ই-মেইল অ্যাড্রেসে অভিযোগ পাঠাতে হবে।
ফেসবুকে দলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “নিজেদের নাম, জেলা, ফোন নম্বর ও পরীক্ষার ভ্যালিড ডকুমেন্ট-সহ মেল করুন আমাদের। আপনি না চাইলে আপনার পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হবে না। অভিযোগের কাগজ বৈধ হলে আমাদের তরফ থেকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা শোনা হবে। CPIM-এর দখলদারির রাজত্বে যারা যোগ্য হয়েও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছেন কমরেডদের বউ, শালা, ভাই, দাদা বা ভাগ্নেদের জন্য, বিশেষত ২০০৭-২০১০ পর্যন্ত যাদের চাকরির পরীক্ষার নম্বরে কারসাজি হয়েছে বলে মনে করেন, তাঁরা মেল করুন। আমাদের তরফ থেকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা শোনা হবে।”