কলকাতা: বর্ধমান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) গাড়ি। মাথাতে চোটও লাগে। শোনা যায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে একটি গাড়ি আচমকা মমতার কনভয়ে ঢুকে যায়। তাতেই বিপত্তি। দ্রুত গতিতে আসা গাড়ির হাত থেকে বাঁচতে ব্রেক কষতে বাধ্য হন মমতার গাড়ির চালক। তাতেই মাথায় আঘাত লাগে মমতার। রক্তও ঝরে। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নন্দীগ্রামে ছিলেন মমতা। সেখানে মমতাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে কী বর্ধমানের ঘটনার নেপথ্যেও এরকমই কোনও কারণ আছে?
যদিও এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে খুব একটা কিছু বলতে চাননি মমতা। বলেন, “অনেকে অনেক সময় অন্য কারও গাড়ি ব্যবহার করে। কারও কারও বলে অপব্যবহারও করে। তোমরা তো দেখেছ বিএসএফের ড্রেস পরে আমার বাড়ি চলে গিয়েছিল। আমার মনে হয় পুলিশ তদন্ত করুক। আমি এখনই কোনও কথা বলতে চাই না।”
এরপরই এদিন দুর্ঘটনার বিবরণও নিজের মুখেই দেন মমতা। বলেন, “একটা গাড়ি প্রায় ২০০ স্পিডে যাচ্ছিল। পুরো মরেই যেতাম ওখানে। আমার ড্রাইভার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে। তখনই পুরো ড্যাশবোর্ডটা এসে আমার মাথায় লেগেছে। তখনই মাথায় লাগে। কিছুটা রক্তও পড়েছে। ফুলেও আছে। তাই নিয়ে আমি কাজ করে গেলাম। আমার গাড়ির কাচটা যদি বন্ধ থাকে তাহলে ড্যাশবোর্ড কাচ সমেত আমার সারা শরীরে যুক্ত হয়ে যেত। গাড়িটা কিন্তু চুরমার হয়ে যেত। ব্রেকটা কষেছিল বলেই কোনওমতে মানুষের আশীর্বাদে বেঁচে গিয়েছি। মাথাটা এখনও টনটন করছে।”