Calcutta High Court: কাঠগড়ায় কুণাল ঘোষ, আদালত অবমাননার অভিযোগ

Kunal Ghosh: উল্লেখ্য, সুপার নিউমারারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানি কেন দ্রুত হচ্ছে না,তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে।

Calcutta High Court: কাঠগড়ায় কুণাল ঘোষ, আদালত অবমাননার অভিযোগ
আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়েরImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Apr 28, 2025 | 11:15 PM

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে নিয়ে মন্তব্যের জের। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির এজলাসে স্বতঃপ্রনোদিতভভাবে অবমাননার মামলা গ্রহণ। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি।

উল্লেখ্য, সুপার নিউমারারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানি কেন দ্রুত হচ্ছে না,তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে যেহেতু মামলা চলছিল, হাইকোর্ট চত্বরেই তাঁর বিরুদ্ধেও মন্তব্য করেন চাকরিপ্রার্থীরা বলে অভিযোগ।

এরপর সোমবার এই ঘটনায় প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বার কাউন্সিলের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তাঁদের বক্তব্য, মামলা বিপক্ষে যেতেই পারে। কিন্তু আইনজীবীদের কীভাবে হেনস্থা করা হতে পারে? এরপরই আদালতের পক্ষ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই মামলা গৃহীত হয়েছে। কুণাল ঘোষ সহ রাজু দাস ও যেসকল ব্যক্তিরা সেদিন বিচারপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঘটনার দিন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিম ছাড়াও আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও ঘেরারও করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, আইনজীবীদের লক্ষ্য করে বোতল ছোড়ার চেষ্টা চলে। শুধু তাই নয়, উন্মত্ত আচরণের পাশাপাশি গালিগালাজও করা হয়। এরপর প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থীরা দেখা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে। সেখান থেকে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএম-এর সব নেতাদের ছবি দেখান মিডিয়ায়। প্রশ্ন তোলেন, এক সময় যে বিকাশ ভট্টাচার্যরা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন মামলা লড়ার জন্য, এখন কেন তাঁরাই চাকরি কাড়তে মরিয়া? এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কুণাল বলেছিলেন, “আর বিচারপতির কিছু কিছু সিপিএমের আইনজীবীকে দেখলে কী হয় জানি না। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখেছি। ভগবান-ভগবান-তারপর সাংসদ।” এবার  এই সকল বিষয়ের জল গড়াল হাইকোর্টে।