RG Kar: সুগার, ইউরিক অ্যাসিড টেস্ট থেকেও কোটি কোটি টাকা রোজগার! সন্দীপের আমলে কী হয়েছে আরজি করে?

Sourav Dutta | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 27, 2024 | 7:45 PM

RG Kar: দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় সন্দীপ ঘোষের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল বলেও অভিযোগ বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধানের। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্য সচিবকে কেন চিঠি লিখলেন তিনি, তা জানতে চেয়েছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

RG Kar: সুগার, ইউরিক অ্যাসিড টেস্ট থেকেও কোটি কোটি টাকা রোজগার! সন্দীপের আমলে কী হয়েছে আরজি করে?
সন্দীপ ঘোষ
Image Credit source: PTI

Follow Us

কলকাতা: সন্দীপ ঘোষের আমলে যেন কেলেঙ্কারির পর কেলেঙ্কারি! রোগীদের বিভিন্ন রকমের টেস্ট থেকেও কোটি কোটি টাকা রোজগার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে আগেই। অভিযোগ সামনে এনেছেন খোদ বিভাগীয় প্রধান।

অভিযোগ, সুগার, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়ামের জন্য করা রক্ত পরীক্ষা থেকেও কোটি কোটি টাকা রোজগার করা হয়েছে। দুর্নীতি রোধে গত ৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে।

চিঠির নিশানায় ছিলেন এক অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, প্রাক্তন অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল সুপার। দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় সন্দীপ ঘোষের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল বলেও অভিযোগ বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধানের। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্য সচিবকে কেন চিঠি লিখলেন তিনি, তা জানতে চেয়েছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ঘনিষ্ঠ মহলে তেমন‌ই দাবি করেন বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে।

এই খবরটিও পড়ুন

অভিযোগ, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ২২ লক্ষ টাকার বায়োকেমিক্যাল রিএজেন্ট নষ্ট হয়েছিল আরজি করে। রিএজেন্ট মজুত থাকা সত্ত্বেও বাড়তি রিএজেন্টের বরাতে সরকারি অর্থের অপচয় হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ সালে ৭৩ লক্ষ‌ টাকার বায়োকেমিক্যাল রিএজেন্ট কেনা হয় আরজি করে। রিএজেন্ট ব্যবহারের যন্ত্র সারাই হতে গেলে অন্য সংস্থাকে রিএজেন্টের বরাত দিয়ে দেওয়া হয়। ছ’মাস পর পুরনো সংস্থার যন্ত্র ফিরলেও নতুন সংস্থা থেকেই রিএজেন্ট কেনা হতে থাকে। তার‌ই জেরে নষ্ট হয় ২২ লক্ষ‌ টাকার রিএজেন্ট।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আর‌ও ৮ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট নষ্ট হয় আরজি করে। এখন‌ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগেই পড়ে রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ সেই লক্ষ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট। প্রতি বছর ২ কোটি ৮৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার অতিরিক্ত রিএজেন্ট কিনছে আরজি কর। স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লিখে, সে কথাও জানিয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে।

তৎকালীন ল্যাব ইনচার্জ অভিজিৎ সাহার দাবি, বিভাগের সঙ্গে রিএজেন্ট কেনার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, কত টেস্ট হচ্ছে, তা হিসেব করে তিনমাসের আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী অর্ডার দেওয়া হয়। কতটা লাগবে সেটা স্টোর ঠিক করে। অভিজিৎ সাহার দাবি, যিনি অভিযোগ করছেন, সেই জয়ন্ত দে আসার পর নির্দিষ্ট কোম্পানির জিনিস ব্যবহার করতে দেননি, সেই কারণেই পড়ে নষ্ট হয়েছে অনেক রিএজেন্ট। তবে এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মাঝে স্পষ্ট হচ্ছে, সন্দীপ ঘোষের আমলে কোথাও না কোথাও গরমিল ছিল।

Next Article