Haridebpur: হরিদেবপুরকাণ্ডে একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত অভিযুক্তরা
POCSO: স্কুলের রান্নার লোক দাবি করছেন, স্কুলের মালিক পুরো ঘটনা ঘটিয়েছেন। আবার স্কুলের মালিক পুলিশের গাড়িতে উঠতে উঠতে দাবি করলেন, তিনি এসবের সঙ্গে যুক্ত নন। পুরো ঘটনা রান্নার লোকই ঘটিয়েছে বলে দাবি স্কুলের মালিকের।
হরিদেবপুর: হরিদেবপুর থানা এলাকার একটি দৃষ্টিহীন স্কুলে শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে তিন অভিযুক্তকেই পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুলের অধ্যক্ষ, মালিক ও রান্নার লোককে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে হরিদেবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা তদন্তভার নিয়েছে। এদিকে এদিন আদালত চত্বর থেকে বের করার সময় একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ধৃতরা। স্কুলের রান্নার লোক দাবি করছেন, স্কুলের মালিক পুরো ঘটনা ঘটিয়েছেন। আবার স্কুলের মালিক পুলিশের গাড়িতে উঠতে উঠতে দাবি করলেন, তিনি এসবের সঙ্গে যুক্ত নন। পুরো ঘটনা রান্নার লোকই ঘটিয়েছে বলে দাবি স্কুলের মালিকের। কিন্তু স্কুলের মালিক হওয়ার পরও তিনি কেন রান্নার লোকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও উত্তর দেননি ওই ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, হরিদেবপুর থানা এলাকার ওই দৃষ্টিহীন স্কুলের কথা গতকাল প্রকাশ্যে আসার পরই একের পর এক অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে। স্কুলের ছোট ছোট দৃষ্টিহীন ছাত্রীদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হত বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে। যৌন নির্যাতনের জেরে এক নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ এবং তারপর নাবালিকার গর্ভপাতও করানো হয় বলে জানা যাচ্ছে।
স্কুলের মধ্যেই এই ভয়ঙ্কর সব ঘটনা ঘটত বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, ওই স্কুলের তিন জন ছাত্রীর উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনকে ধর্ষণও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই দৃষ্টিহীন স্কুলের বিরুদ্ধে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে লালবাজারে অভিযোগও জানানো হয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।