
কলকাতা: শনিবার দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষ হয়েছে। বিচারক জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে নিয়ে ইডির আবেদনের রায় শোনাবেন। চন্দ্রনাথকে ইডি হেফাজতে পাবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় বিচারক কী রায় দেন, সেদিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। কিন্তু, এদিন ইডির আবেদন নিয়ে রায় শোনাল না আদালত। বুধবার দুপুর ২টা রায় শোনাবেন বিচারক।
কিন্তু, এদিন আদালত কেন রায় শোনাল না? গতকাল রাত থেকে ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা। রাস্তা জলমগ্ন। এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এদিন বিচারভবনে কোনও মামলায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা। তাই, এজলাসে বসেননি বিচারক। সেজন্যই আগামিকাল দুপুর ২টায় রায় শোনাবেন বিশেষ ইডি আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চন্দ্রনাথের নাম জড়ানোর পরই গত বছরের মার্চে তাঁর বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। বাজেয়াপ্ত করেছিল নগদ ৪১ লক্ষ টাকা। তবে তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। গত শনিবার ইডির আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেন, “তখন রাজ্যের কারামন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হলে তাঁর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সতর্ক হয়ে যেতেন। ওঁর লার্জার কানেকশন আছে। আমরা বাকি তথ্য পেতাম না। এখন আমরা সব তথ্য জোগাড় করেছি। তাই হেফাজতে চাইছি।”
মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। তারপরই গত ৬ সেপ্টেম্বর বিশেষ ইডি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন চন্দ্রনাথ। সেইসময়ই ৭ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। কিন্তু, জামিন পান চন্দ্রনাথ। পরে তাঁর জামিনের মেয়াদ ফের বাড়ানো হয়। শনিবার আদালতে চন্দ্রনাথকে ৭ দিনের হেফাজতে চেয়ে সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী। ইডির হেফাজতের আবেদনের বিরোধিতা করেন চন্দ্রনাথের আইনজীবী। তিনি যুক্তি দেন, “তদন্তের জন্য হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। চার্জশিট জমা দেওয়ার পর আবার পিছন ফিরে পুরনো কী তদন্ত করতে চাইছে?”
দুই পক্ষের সওয়াল শেষে শনিবার বিচারক শুভেন্দু সাহা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় রায় শোনাবেন তিনি। কিন্তু, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য আইনজীবীরা বিচারভবনে কোনও মামলা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিচারক এদিন এজলাসে বসেননি। ফলে চন্দ্রনাথকে ইডি হেফাজতে পাবে কি না, তা নিয়ে আরও ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষা বাড়ল।