Opposition Meeting: দাদা, অঙ্ক কী কঠিন! গণশক্তিতে ‘উধাও’ মমতা, জাগো বাংলায় ‘ব্রাত্য’ ইয়েচুরি

CPIM-TMC: বর্তমান প্রেক্ষিতে জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ মমতা। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টাও রয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু সেই পটনার বৈঠকের যে ছবি সিপিএম মুখপত্রের প্রথম পাতায় ছাপানো হয়েছে, তাতে বেমালুম গায়েব মমতা।

Opposition Meeting: দাদা, অঙ্ক কী কঠিন! গণশক্তিতে ‘উধাও’ মমতা, জাগো বাংলায় ‘ব্রাত্য’ ইয়েচুরি
সিপিএম ও তৃণমূলের মুখপত্রের ছবিImage Credit source: Ganashakti and Jago Bangla

| Edited By: Soumya Saha

Jun 24, 2023 | 4:08 PM

কলকাতা: চন্দ্রবিন্দু অনেকদিন আগেই সুর বেঁধে দিয়েছে, দাদা অঙ্ক কী কঠিন! আর সেই গানের কলি যেন অনেকটা মিলে যাচ্ছে পটনার বৈঠকে। বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভার রণকৌশল তৈরি করতে দফায় দফায় বৈঠক করছে বিরোধী দলগুলি। রাজধানী দিল্লিতে আগেই কয়েক দফায় বৈঠক হয়ে গিয়েছে। গতকাল পটনাতেও আরও একদফা বৈঠক হয়েছে। তৈরি হচ্ছে বিজেপিকে হটানোর নীলনকশা। নীতীশের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপি বিরোধী সব রথী-মহারথীরা। সকলে মিলে সাংবাদিক বৈঠকও করেছেন গতকাল। কিন্তু ভিতরে ভিতরে কী কোনও চোরাস্রোত থেকে যাচ্ছে? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ আজ সিপিএম মুখপত্রের প্রথম পাতায় বড় করে ছাপানো হয়েছে ‘বিরোধী ঐক্যের’ ছবি। কিন্তু তাতে দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।

পটনায় বিরোধীদের বৈঠক

বর্তমান প্রেক্ষিতে জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ মমতা। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টাও রয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু সেই পটনার বৈঠকের যে ছবি সিপিএম মুখপত্রের প্রথম পাতায় ছাপানো হয়েছে, তাতে বেমালুম গায়েব মমতা। আবার একইভাবে তৃণমূলের মুখপত্রে যে ছবিগুলি ছাপানো হয়েছে, সেখানে সিপিআই-এর ডি রাজাকে দেখা গেলেও দেখা মেলেনি সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিকে। তৃণমূল মুখপত্রে ইয়েচুরির কথাও সেভাবে উল্লেখ নেই। আবার সিপিএম মুখপত্রের ভিতরের পাতায় যে বক্তব্য রয়েছে, সেটিও বেশ অস্পষ্ট ও কটাক্ষ মিশ্রিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

পটনায় বিরোধীদের বৈঠক

কেন এমন অবস্থা? রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, বাংলার রাজনীতির ময়দানে তৃণমূল ও সিপিএম উভয় শিবিরের নিজস্ব কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এদিকে আবার বিজেপি শিবির থেকেও ভিতরে ভিতরে বাম-তৃণমূল আঁতাতের কথা বলে খোঁচা দেওয়া হয়। দিল্লিতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তি… এমন তত্ত্বও তুলে ধরা হয়। সেইরকম কোনও আক্রমণ যাতে আবার হজম না করতে হয়, সেই কারণেই উভয় পক্ষই একে অপরের প্রসঙ্গ দলীয় মুখপত্রে প্রায় এড়িয়ে গিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

এদিকে গতকালের বৈঠক প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের সময় কোনও জাতীয় স্তরের জোট হবে না। জাতীয় স্তরে জোট বাস্তবিক ক্ষেত্রে সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন তিনি। তবে মানুষ যাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারে, সেই ‘রাজনৈতিক পরিমণ্ডল’ তৈরি করার দরকার রয়েছে বলেও জানালেন সেলিম। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের কথায়, ‘প্রতিটির রাজ্যের বাস্তব চিত্র আলাদা। রাজ্যগুলির বাস্তবতার কথা মাথায় রেখে নির্বাচনী সমঝোতা গড়ে উঠবে।’ উদাহরণ হিসেবে কেরলে কংগ্রেসের নেতৃত্বে পৃথক জোট ও বামেদের নেতৃত্বে পৃথক জোটের কথাও তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও তৃণমূল কখন বিজেপির সঙ্গে থাকবে, কখন থাকবে না… তা নিয়েও সংশয় রয়েছে সেলিমের মনে।